Tuesday, June 10, 2025
30 C
Kolkata

আর কত দিন চলবে শিক্ষা, চাকরিতে সংরক্ষণ?৭০ বছরে কি কোনো উন্নতি হয়নি? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

নিউজ ডেস্ক : জেনারেল কাস্টের ছেলে মেয়েদের বহুদিনের দাবি সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই চাকরি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক যোগ্য প্রার্থী বাদ পড়ে যান শুধুমাত্র জেনারেল কাস্টের হওয়ার জন্য। আবার তুলনামূলক অনেক কম মেধার প্রার্থী সুযোগ পান তারা সংরক্ষণের আওতায় থাকার জন্য। এবার সেই কথাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি সংরক্ষণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে, স্বাধীনতার ৭০ বছর পার হলেও কি এই অনগ্রসর শ্রেনিগুলোর এতদিনের সংরক্ষণের কোনো সুবিধা হয়নি? এত বছরেও কি এদের কোনো উন্নতি হয়নি? তাহলে এখনও কেন প্রয়োজন সংরক্ষণ? আর কতদিন চলবে এমন সংরক্ষণ? কতদিন মেধার ওপর সংরক্ষণ গুরুত্ব পাবে? প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চলার কোনো অর্থ নেই। চাকরির ক্ষেত্রে মেধাই শেষ কথা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।

মহারাষ্ট্রে ১৯৩১ সালে পাশ হওয়া সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি বিলের প্রস্তাব ছিল, পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর শ্রেণির সদস্যদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে। এই প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তাতে বিচারপতিরা জানান যে এই ১৬ শতাংশ সংরক্ষণে সায় দিলে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষণের যে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ ৫০ শতাংশ, তা পেরিয়ে যাবে। শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়ে অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বলেন, ”১৯৩১ সালে পাশ হওয়া বিলে এই প্রস্তাব ছিল। তবে তা এখন পুনর্বিবেচনা করা উচিত।” তাঁর আরও বক্তব্য, শিক্ষা বা চাকরিতে সংরক্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সংরক্ষণ প্রয়োজন কি না অথবা কতটা সংরক্ষণ দরকার, তা ঠিক করবে রাজ্য সরকারই।

তাঁর এই যুক্তির পর বিচারপতিরা আরও প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও কি কোনও শ্রেণিরই কোনও উন্নতি হয়নি? তাহলে তাদের জন্য এখনও সংরক্ষণ কেন প্রয়োজন? এর জবাবে রোহতগি আবার জানান যে মহারাষ্ট্রে এখনও ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছেন। অনাহারে মৃত্যুহারও বেশি। তাই এক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিৎ বলে মতপ্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলাটির শুনানি চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু শিক্ষা ও চাকরি অর্থাৎ যেখানে মেধাই অগ্রগণ্য হওয়া উচিৎ, সেখানে কেন সংরক্ষণের বাঁধে আটকে রাখা হচ্ছে? এবার শীর্ষ আদালতের এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মামলাকারীদের।

Hot this week

গাজার রাফাহ সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যু: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ জন ফিলিস্তিনি

ফের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রাফাহ শহরের একটি...

মাদ্রাসা রক্ষায় আজমগড়ে সম্মেলন, আদালতের পথে জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে আয়োজিত হয় একটি মাদ্রাসা রক্ষা সম্মেলন...

ঈদের আগে উত্তেজনা: গাজিয়াবাদে মুসলিম মাংস বিক্রেতাকে গুলি করার হুমকি বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর

উত্তরপ্রদেশর গাজিয়াবাদে বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর সম্প্রতি একটি...

টাকার পরিমান দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার, গ্রেপ্তার ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার

চোখ ধাঁধানো গুপ্তধনের সন্ধান। ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার অমিত...

Topics

গাজার রাফাহ সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যু: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ জন ফিলিস্তিনি

ফের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রাফাহ শহরের একটি...

মাদ্রাসা রক্ষায় আজমগড়ে সম্মেলন, আদালতের পথে জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে আয়োজিত হয় একটি মাদ্রাসা রক্ষা সম্মেলন...

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা!ধ্বংস করা হল ২৪০টির বেশি ঘর, নিহত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ

গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আসছে।...

Related Articles

Popular Categories