নিউজ ডেস্ক : আজ বিজেপির ঘেরাও অভিযানে অংশ নেননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বিজেপিতে আসার পর থেকেই ক্রমাগত দিলীপের গুরত্ব হ্রাস পাচ্ছে বিজেপির অভ্যন্তরে। তা বোঝাও গিয়েছে তার ব্যবহারে। বার বার প্রশ্ন উঠে এসেছে কার অধিকার এবং ক্ষমতা বেশি ব্যাপক এবং সার্বভৌম? কে এগিয়ে নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে? এবার সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল যখন শুভেন্দু অধিকারী ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা ‘ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। বিশাল অভিযানের কথা বলা হয়েছিল ভোর তরফে। দিলীপ ঘোষ হুমকি দেন পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে ভুগতে হবে। কিন্তু এত তর্জন গর্জনের পরও বিজেপির অভিযান শেষ হয়ে যায় মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যে। গ্রেফতার হন দিলীপ, লকেট, সায়ন্তনরা। কিন্তু এই অভিযানের ব্যর্থতার তুলনায় আলোচনা বেশি হচ্ছে এই অভিযান বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে দিল। প্রকাশ্যে এল শুভেন্দু দিলীপের দ্বন্দ্ব। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠানো সূচি অনুযায়ী, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরেই নাম ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু এদিন কলকাতাতেই এলেন না শুভেন্দু।
শনিবার দলের নতুন বিধায়কদের কর্মশালাতেও দলকে না জানিয়ে বিধায়কদের কিছু করতে বারণ করেছেন দিলীপ। এর আগে ৫০ জন বিধায়ক নিয়ে রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া নিয়েও বিজেপি সভাপতির মন্তব্য সুস্পট বিভাজনের ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, আসলে শুভেন্দুকে লক্ষ্য করেই দিলীপের এই বার্তা। বিজেপির কার্য বিবরণী বৈঠকের দিন এই দুই নেতা পাশাপাশি চেয়ারে বসলেও একে অপরের থেকে ‘দূরত্ব’ বজায় রেখেছিলেন বলেই দলের অন্দরে জল্পনা। আজ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারীর না থাকা সেই জল্পনায় আরও ইন্ধন জোগাল বলেই মনে করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে অবশ্য জানানো হয়েছে, আজ সকাল থেকে ভগবানপুরে রয়েছেন শুভেন্দু।
আবার বিজেপির কর্মসূচির পরপরই একাধিক টুইট করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। কিন্তু আজ তিনি কেন বিজেপির অভিযানে আসলেন না তাই নিয়ে উঠছে বিরাট প্রশ্ন। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র অবশ্য বলছে, আজকের কর্মসূচির নিয়ন্ত্রক আসলে দিলীপ তাই এলেন না ‘দাদা’।