

পানিহাটি পুরপ্রধান মলয় রায়কে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে গত মঙ্গলবার মলয় রায়কে ফোন করেন তিনি।
বিগত কয়েকদিন ধরে পানিহাটি অঞ্চলের অমরাবতি প্রাঙ্গন, বেআইনিভাবে বিক্রি করার গুঞ্জন শোনা যায়। অভিযোগের তীর ওঠে শাসকের দিকে। সোদপুরের পানিহাটি অঞ্চলের অমরাবতী প্রাঙ্গণের আয়তন আনুমানিক ৮৫ বিঘা। প্রত্যেক বছর এই প্রাঙ্গণে মেলা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সোদপুর পানিহাটির প্রাণকেন্দ্র এই অমরাবতী প্রাঙ্গণ, প্রোমোটার গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে চাইছে শাসক। যার জেরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে শাসক-বিরোধী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এও দাবি করে সাম্প্রতিক অতীতে এই মাঠ বহুতল আবাসন নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিক্রির প্রচেষ্টা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, মুখ্য সচিব জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ফিরহাদ হাকিমের এমন সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন গাফিলতি? এর আগে যদিও গার্ডেনরিচ, উত্তর দমদম, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুকুর অথবা ফাঁকা জমি বুঝিয়ে বহুতল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে শাসকের বিরুদ্ধে। সোদপুর পানিহাটিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছে, এখনো পর্যন্ত তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণে মূল অভিযুক্তরা অধারা। এর কারণে মুখ পুড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আবার এই সোদপুর অঞ্চলে নতুন করে কোন সমস্যা সরকারের ‘সততার প্রতীক’ ভাবধারায় যেন কোন কালি লাগাতে না পারে তার জন্যই তড়িঘড়ি করে এমন উদ্যোগ নিলেন ফিরাদ হাকিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।