নিউজ ডেস্ক : কিছুদিন আগেই ইরানের রাজধানী তেহরানের প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা ইরানের পরমাণু গবেষণার জনক মহসিন ফাখরিজেদাহকে। সেই ঘটনার সঙ্গে ইসরাইলের মোসাদের সুস্পষ্ট যোগাযোগ অনুমান করা গেলেও কোনো তথ্য বা প্রমাণ খুঁজে পায়নি ইরানীয় পুলিশ। তবে কয়েক দিন আগে তেহরানের রাস্তায় ইসরাইলের পতাকার উপস্থিতি প্রমাণ করে ইরানে ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি।এরই মাঝে ইরানে কার্যকর হলো এক গুপ্তচরের ফাঁসি। হাইকোর্টের দেওয়া ফাঁসির রায় সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখায় ফাঁসি কার্যকর করা হয় রুহুল্লা জাম নামক ওই গুপ্তচরের।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ফ্রান্স, আমেরিকা এবং ইসরাইল সহ বিভিন্ন ইরান বিরোধী দেশের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত ইরানের অভ্যন্তরে। এছাড়াও তিনি ইরানের দেশবিরোধী এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন সহিংসতামূলক উৎশৃংখল কর্মকাণ্ডে ইন্ধন যোগানোর কাজ করতেন। ২০১৭ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে পেশায় সাংবাদিক এই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং গত জুন মাসে তাকে হাইকোর্টে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
সে সরকারবিরোধী সমস্ত কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এবং তা ইরানের মূল ধারার সব টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়।সে স্বীকার করে ফ্রান্সের তরফ থেকে তার জন্য উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হতো।তবে এত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার মাঝেও তাকে গ্রেফতার করা ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য একটা বড়ো সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন চারিদিকে সবাই সে দেশের পরমাণু বিজ্ঞানের জনক মহসিন ফাখরিজেদাহর হত্যার জন্য ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে।