
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার দুর্ঘটনায় ১৮ জন যাত্রী প্রাণ হারান। মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে রেল ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, এবং আহতদের মধ্যে গুরুতর আহতদের জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা ও তুলনামূলক কম আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১৪ জন মহিলা ও অন্তত ২ জন শিশু রয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর বলেন, প্ল্যাটফর্ম ১৪ ও ১৫-এ নামতে গিয়ে একজন যাত্রী সিঁড়িতে পা পিছলে পড়ে যান, যার ফল স্বরূপ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে মহাকুম্ভ মেলায় যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রচুর পুণ্যার্থী উপস্থিত থাকার কারণে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে জনসমাগম সৃষ্টি হয়েছিল। প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস, স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস ও ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসের বিলম্বের ফলে প্ল্যাটফর্মে ভিড় আরও বেড়ে যায়, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করেছেন। এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি স্থাপন করে ঘটনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তৃত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং স্টেশনের সকল সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।