ভোট গণনার পর থেকেই বিজয়ী জো বাইডেন কে ভাবী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করতে চাইছিলেন না প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের পরাজয়কে স্বীকার করা তো দূরের কথা, উল্টে ভোট কারচুপির অজুহাতে একের পর এক উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই মামলার খরচ যোগাতে হচ্ছিল সাধারণ করদাতাদের, যার জন্য রীতিমত নাজেহাল অবস্থা সাধারণ করদাতাদের।
উচ্চ আদালতে একগুচ্ছ মামলা, ক্যাপিটল হিলে জনতার উন্মত্ততা সামলাতেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর সেনাবাহিনী। যার জন্য একটা বড় ধরনের অর্থ বিনিয়োগও করতে হয়েছিল। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে করদাতা সহ সাধারণ জনগণ। আমেরিকার কয়েকটি প্রাদেশিক ফেডারেল ও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৫২ কোটি ডলারের খরচ হয় ট্রাম্পের অবাধ্য,অশ্লীল উন্মত্ততায়।
সামনের সপ্তাহে ট্রাম্প ইম্পিচমেন্ট! সেখানেই তদন্ত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম সমর্থকদের হিংসাত্মক ও উন্মত্ততার পেছনে কতটা উস্কানিমূলক হাত ছিল ট্রাম্পের।” ট্রাম্প যে নির্দোষ” এই কথাটা অত সহজে প্রমাণিত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ট্রাম সমর্থকরা উন্মত্ততার শিকার হয়ে ক্যাপিটাল হাউসের ও তার আশেপাশের যে সব জিনিস-পত্র, দরজা-জানালা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের মেরামত ও ক্ষতিপূরণের জন্য লেগেছিল প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। এর জন্যও একটা সাধারন জবাব তো ট্রাম্পকে দিতেই হবে।