নিউজ ডেস্ক : বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির করার বিতর্কিত রায় এরপর থেকেই সারা দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রাম মন্দিরের নামে চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ শুরু করেছে। জবরদস্তি চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বহু ব্যক্তির কাছ থেকে। এমনকি মুসলিমদের থেকেও জোর করে নেওয়া হচ্ছে চাঁদা, না দিলে তাদের বাড়ি চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। এবার রাম মন্দিরের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ চাঁদা না দেওয়ায় বহিস্কৃত হতে হলো এক স্কুল শিক্ষককে। এমনকি তার প্রাপ্য ৮ মাসের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফ থেকে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
যশোমন্ত প্রতাপ সিং, জগদীশপুর এলাকার এলাকার সরস্বতী শিশু মন্দির নামক একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্কুলটিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস এর মানে চলে বলে জানা গিয়েছে। সিংকে রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা সংগ্রহের নিমিত্ত একটি রিসিপট বই দেয়া হয় স্কুলের তরফ থেকে। তিনি সেই রিসিভ বই নিয়ে ৮০০০০ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে স্কুলে জমা দেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন আরএসএস এর তরফ থেকে পরিদর্শক সত্য স্কুলে এসে আচমকাই তাকে ১০০০ টাকা নিজের তরফ থেকে রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা দেওয়ার হুকুম দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত সিং তা দিতে না পারায় তার সঙ্গে অভদ্র অশোভন এবং অপমানজনক আচরণ করা হয়, তার গত ৮ মাসের বকেয়া বেতন কেটে নেয়া হয়েছে তরফ থেকে এবং তাকে স্কুল থেকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হয়।
ঘটনাটি তদন্ত প্রতাপ সিং স্কুলের কর্তৃপক্ষের কাছে এর বিচার দাবি করেন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আরএসএস-এর কর্তারা বিষয়টিকে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্টে তারা অভিযোগ করেছেন তিনি শিক্ষাদানে প্রতি আগ্রহী ছিলেন না এবং আরএসএসের চাঁদা সংগ্রহ করে দেননি তাদেরকে।