কেবল যুক্তরাষ্ট্রই আফগানিস্তানে পরাজিত হয়নি, হেরে গেছে আফগান সুপ্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীও। আফগান সেনারা পালিয়েছে সব রকম অস্ত্র-সরঞ্জাম ফেলে দিয়েই। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা সেই সমরাস্ত্রই এখন তালিবানের হাতে।যার মধ্যে রয়েছে, ২ হাজারের মতো সাঁজোয়া যান, বহু হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ, মিলিটারি ড্রোন, আধুনিক বন্দুক, রকেট, নাইট-ভিশন গগলসের মতো বিশ্বসেরা সব অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগে জো বাইডেন প্রশাসন। কারণ, তালিবান এ অস্ত্রগুলো নিয়ে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আকাশে টহল দিতে দেখা গেছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোকে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসজ্জিত করতে গত ২০ বছরে দেশটি আট হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। কিন্তু তাদের এই প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র তালিবানের হামলার ঠেকাতে পারেনি। উল্টো মার্কিন সেনাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য তালিবানে যোগ দিয়েছে।
মার্কিন গভর্নমেন্ট একাউন্টিবিলিটি অফিসের ২০১৭ সালের তথ্য অনুসারে- আমেরিকা আফগানিস্তানকে ৭৫,৮৯৮টি গাড়ি; ৫,৯৯,৬৯০টি অস্ত্র; ১,৬২,৬৪৩টি যোগাযোগের সরঞ্জাম, ২০৮টি বিমান ও হেলিকপ্টার এবং ১৬,১৯১টি গোয়েন্দা ও নজরদারি সরঞ্জাম দিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়।
এছাড়া, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানকে ৭,০৩৫টি মেশিনগান; ৪,৭০২টি হামভি গাড়ি; ২০,০৪০টি হ্যান্ড গ্রেনেড; ২,৫২০টি বোমা ও ১,৩৯৪টি গ্রেনেড লাঞ্চার দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানকে দেওয়া বিমান ও হেলিকপ্টারের ৪৬টি এখন উজবেকিস্তানে রয়েছে। তালিবানদের কাবুল দখলের পর এসব এয়ারক্রাফট ব্যবহার করে প্রায় ৫০০ আফগান সেনা উজবেকিস্তানে পালিয়ে যায়। বাকিগুলো তালেবানের হাতে রয়েছে।