শিশুকে রাতভোর ধর্ষণ,খুবলে নেওয়া হল চোখ,বিহারের মুঙ্গেরে

নৃশংসতার চরম নিদর্শন দেখা গেল বিহারের মুঙ্গেরে। রাতভর ধর্ষণের পরও ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক! মেলেনি সুখ, তাই ছোট্ট শিশুর ডানদিকের চোখ খুবলে বার করে নেওয়া হল। এখানেই শেষ নয়, একরত্তির হাতের আঙুলও ভেঙে দেয় ধর্ষক বা ধর্ষকেরা।

বুধবার রাতে এই জঘন্য পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুঙ্গেরের পুরবী টোলা গ্রামে। বৃহস্পতিবার যখন শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়, তখন একরত্তির সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। এই ঘটনায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা গ্রামে।

মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই শিশুটি বুধবার বিকেলে বাবার (পেশায় জেলে) সঙ্গে নদীতে গিয়েছিল।

শিশু কন্যাটির বাবা যখন নদীতে নামেন, তখন শিশুটি পাড়েই দাঁড়িয়েছিল। এরপর শিশুটির বাবা যখন জল থেকে উঠে আসেন, তখন মেয়েকে দেখতে পাননি। মেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, বা অন্য কোথাও খেলছে ভেবে বাড়ি ফিরে আসেন।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও শিশুকন্যা বাড়ি না ফেরায়, পরিবারের সকলে চিন্তায় পড়ে যান। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। নিকটবর্তী সোফিয়াবাদ থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে নদীর এক দিকের একটি ইট ভাঁটায় শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যে এলাকা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়, সেখানেই তাঁকে রাতভর ধর্ষণ করে, তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের সময় শিশুটির সারা দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। মুঙ্গেরের ডিএসপি নন্দজি প্রসাদ বলেন, শিশুটিকে কীভাবে মারা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ধর্ষক বা ধর্ষকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়ে গেছে। এদিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

Latest articles

Related articles