কল্যাণপুরের সঙ্গে শহর কান্দিকে বিচ্ছিন্ন করেছে কানাময়ূরাক্ষী নদী। কল্যাণপুরের লোকেদের বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় কান্দি শহরে । ব্রিজ নেই বলাটা ভুল। আছে দুটি ব্রিজ। একটি বাস স্ট্যান্ডে, আরেকটি 4 কিলোমিটার দূরে বাইপাসে। তবে বাস স্ট্যান্ড হয়ে কান্দি শহরে ঢুকতে সুভাষ সবজি মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা সঙ্কীর্ণ হবার কারণে প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে যানজট।
অন্যদিকে বাইপাস হয়ে যদি তারা কান্দি শহরে আসে, সেক্ষেত্রে সময় লেগে যায় অনেকটাই। যার জন্য কল্যাণপুর গ্রামবাসীদের দাবি ছিল কান্দি থানার মোড়ে কানাময়ূরাক্ষী নদীর উপর একটি ব্রিজের। বিগত ১৫ বছর ধরে এই ব্রিজের দাবি উঠতে থাকায় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা অনেকবার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিজ করার। কখনো পরিবহনমন্ত্রী, কখনো সেচমন্ত্রী — বিভিন্ন পদাধিকার মন্ত্রীর কাছে আশ্বাস মিলেছে ব্রিজ করে দেওয়ার। ব্রিজের টাকাও নাকি স্যাংশন করে সরকার। তবে ব্রিজ আজও পায়নি কল্যাণপুরবাসি। তবে ব্রিজের বদলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী সেতু করা হয়, যা সামান্য বৃষ্টি হলেই ভেঙে যায়।
ব্রিজ হলে যে শুধু কল্যাণপুরের কিছু গ্রামবাসীরাই উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। কান্দি থানার মোড় সংলগ্ন কানাময়ূরাক্ষী নদী চত্বরের কান্দি মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির যে সমস্ত ট্রান্সপোর্টের মাল নিয়ে আসা ট্রাকচালকেরাও উপকৃত হবেন। কারণ শহরের যানজট কমানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সময় নো এন্ট্রি করা হয় কান্দি শহরে। আর নো এন্ট্রির ফলে ট্রাক চালকদের প্রচুর সময় অপচয় হয়।
পাশাপাশি কান্দি টোটো ইউনিয়ন এর সম্পাদক মিরাজ সেখ জানিয়েছেন, ওই ব্রিজ হলে টোটো চালকরাও উপকৃত হবে, যানজটমুক্ত হবে শহর। কান্দি বাসি এখনো আশায় রয়েছে এই ব্রিজ হবে, কান্দি শহর যানজটমুক্ত হবে,কিন্তু আদৌ কি ব্রিজ পাবে কান্দির মানুষ?তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।