এনবিটিভি, ওয়েব ডেস্ক: বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হল ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কৌশল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত। জানা গিয়েছে, সোমবার ও শুক্রবার ছাড়া বাকি দিনগুলিতে নিয়মিত এই মামলার শুনানি হবে।
কি হয়েছে আজ?
এদিন মামলাকারী পক্ষের প্রধান আইনজীবী কপিল সিবাল জানান, “মামলা নিয়ে কারও প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করবোনা ৷ তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে কোনওভাবে দোষারোপ করতে চাইনা ৷
শুনানির প্রথমে কপিল সিবাল আদালত কক্ষে একটি চিঠি পাঠ করে শোনান যেখানে বলা হয়েছে, “১৯৪৭ সালে পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরে সামরিক অভিযান চালায় ৷ সেই সময় ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে এই চিঠিটি লেখেন জম্মু-কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং।”
অন্যদিকে প্রবীণ আইনজীবী জানান, “১৫ অগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছিল ৷ তখনও জম্মু-কাশ্মীর ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি ৷ প্রায় সব রাজারা তাঁদের রাজ্যগুলি ভারত সরকারের হাতে তুলে দিলেও মহারাজ হরি সিং তা চাননি ৷ কাশ্মীর ভারতের হয় সে বছর অক্টোবরে।”
এরপর কপিল সিবাল জানিয়েছেন, তিনি আজ ও কাল পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য আদালতে পেশ করবেন ৷ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, সওয়াল-জবাবের সময় কোনও তথ্য যেন আরেকটির ঘাড়ে চেপে না যায় ৷ তাই মামলাকারী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ৩৭০ ধারার সব দিক দিয়ে বলতে পারবেন ৷ বাকি আইনজীবীরা কিছু নির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে বলার সুযোগ পাবেন ৷
কি ঘটেছিল?
২০১৯ সালের ৫ই অগস্ট এনডিএর নেতৃত্বে গঠিত বিজেপি সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ৷ জম্মু ও কাশ্মীর তার বিশেষ মর্যাদার তকমা হারায় ৷ এরপর জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে কেন্দ্রীয় সরকার।