সম্প্রতি ত্রিপুরার বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন তাঁর দলবল নিয়ে কলকাতায় এসেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সুদীপ। সেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী সুদীপ ফের তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তবে এই ঘটনায় বিজেপির মধ্যে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিতে থাকলেও তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সম্পর্ক ভালো নয়। এর আগে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরেই সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি ছেড়ে ফের যখন মুকুল রায় তৃণমূলে চলে আসেন, তখন সুদীপবাবুও ফিরে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সুদীপবাবুর সঙ্গে আরও একজন বিধায়ক কলকাতায় এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সুদীপবাবুর বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে কবে এই বৈঠক হবে, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন সুদীপ রায় বর্মন। পরে অবশ্য ফেসবুকে পোস্ট করে বিজেপির প্রতিই আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরই সুদীপ রায় বর্মনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বেড়েছে। এদিকে আরেক বিধায়ক জিতিন সরকার দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতায় রয়েছেন। তিনি তো তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর। সেই চিঠি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। সুদীপবাবুর সঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির আরও এক বিধায়ক কলকাতায় এসেছেন বলে খবর। আসার আগে অবশ্য তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন বলে খবর। সবমিলিয়ে ফের সুদীপ রায় বর্মনের দলবদলের জল্পনা বেড়েছে।
ত্রিপুরা বিজেপির সহ-সভাপতি অশোক দেরবর্মার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেনের। কংগ্রেসের সুবল ভৌমিকও তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। তবে কারা আসেন, কী কথাবার্তা হয় নেতৃত্বের সঙ্গে তা নজরে রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল ঠিক সেইভাবেই ত্রিপুরায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানে ভিড় হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। যদিও বিজেপির কটাক্ষ, ত্রিপুরায় তৃণমূল মাইনাস থেকে শূন্যের দিকে এগোচ্ছে।