
জাতিসংঘের জাতিগত বৈষম্য নির্মূল বিষয়ক কমিটি ভারত সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে আসামের বাঙালি মুসললিমদের প্রতি জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ১২ মে, ২০২৫ তারিখে পাঠানো ওই চিঠিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা একাধিক নতুন তথ্য পেয়েছে যা তাদের জরুরি ব্যবস্থা প্রক্রিয়ার আওতায় পড়ে।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, আসামের এনআরসি- এর সময় বহু বাঙালি মুসলিমদের নাগরীতিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারেননি সঠিক কাগজপত্র না থাকায়।

জাতিসংঘের জাতিগত বৈষম্য নির্মূল বিষয়ক কমিটি জানিয়েছে, আসামে মূল বাসিন্দা ও অমূল বাসিন্দা বলে আলাদা করে বাঙালি মুসলিমদের বেশি কঠিন প্রক্রিয়ার মুখে ফেলা হয়েছে। অনেককে সন্দেহভাজন ভোটার বলা হয়েছে।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাঙালি মুসলিমদের বাদ দিয়ে অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দিচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক।

কমিটি আরও জানিয়েছে, আসামে কয়েক বছর ধরে জোরপূর্বক উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে, যেখানে বাঙালি মুসলিম পরিবাররা প্রধান লক্ষ্য। অনেক গ্রাম থেকে মানুষদের বের করে বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘ কমিটি ভারত সরকারকে ১ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে এবং গঠনমূলক সংলাপের আশা প্রকাশ করেছে।