তুরস্কে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প বিভিন্ন খাত থেকে প্রত্যাশিত এক কোটি ডলার বিনিয়োগের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই প্রথম বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে।
এই বিশেষ খাতের পাশাপাশি উপসাগরীয় দেশটি তুরস্কের কৃষি, জ্বালানি, খাদ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। বিনিয়োগের সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের দু’দিনের সরকারি সফরের পরে এসেছে যেখানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথেও দেখা করেছিলেন।
তুরস্কের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বোর্ডের (ডিইআইকে) চেয়ারপারসন নেইল ওলপাক সাম্প্রতিক সফরের বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন এবং শক্তিশালী প্রক্রিয়া উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। ‘তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য তাদের আগ্রহ অনেক বেশি,’ তিনি বলেছিলেন।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইস্তাম্বুল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনগুলোর সাথে বৈঠক শুরু করবে। ওলপাক বলেছেন, ‘প্রথমত, তারা আমাদের বলেছিল যে, আমাদের একটি খুব শক্তিশালী চুক্তি সেক্টর রয়েছে এবং তারা এর থেকে উপকৃত হতে চায়’। তিনি আরো বলেন, ‘ইউএইএর বেসরকারি খাত তুরস্ককে কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জড়িত করতে আগ্রহী। এটি নতুন ব্যবসা শুরু করা থেকে বা বিদ্যমানগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের আকারে হতে পারে। আমরা দেখেছি যে জ্বালানি, তথ্য, খাদ্য এবং কৃষিতে তাদের আগ্রহ সামনে এসেছে।’ ডিইআইকে তুরস্ক-ইউএই বিজনেস কাউন্সিলের প্রধান তেভফিক ওজ ইতিমধ্যে, জ্বালানি, রিয়েল এস্টেট, কৃষি, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যসহ ক্ষেত্রগুলোকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যেখানে প্রতিরক্ষা শিল্প নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই বছর, আমরা বিনিয়োগগুলো দেখতে পাচ্ছি যা তুর্কি কোম্পানির জ্ঞান এবং তাদের আর্থিক শক্তিকে একত্রিত করে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা শিল্প হলো সহযোগিতার সবচেয়ে কাছের খাত। পুরো প্রক্রিয়াটি দুইপক্ষের জন্যই লাভ-লাভ যুক্তির সাথে এগিয়ে চলেছে’।
সূত্র : নয়া দিগন্ত