এবার আলিগড়ের নাম বদলে ‘হরিগড়’ করার প্রস্তাব পাশ পঞ্চায়েতে  

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

aligarh-railway-station_1558996125

উত্তরপ্রদেশ মানেই নাম পরিবর্তন। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়নের বদলে না বদলের হিড়িক পড়েছে। এলাহাবাদ বদলে প্রয়াগরাজ করা হয়েছে, মোগলসরাই বদলে হয়েছে দীন দয়াল উপাধ্যায়, এবার তাতে যুক্ত হল আলিগড়। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে আলিগড়ের নাম বদলে হরিগড় করা হোক’। সোমবার এমনই প্রস্তাব পাশ করিয়েছে আলিগড় জেলা পঞ্চায়েত। ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি কোনও পঞ্চায়েত সদস্য। মোট ৭২ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন। পাশ হওয়া প্রস্তাবটি রাজ্য সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আলিগড় বিমান বন্দরের নাম হোক বিজেপি নেতা কল্যাণ সিং-এর নামে। উত্তরপ্রদেশে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি মৈনপুরি জেলা পঞ্চায়েতে পাশ হওয়া এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মৈনপুরির বদলে জেলার নাম রাখা হোক মায়ান নগর। মায়ান ছিলেন একজন ঋষি। মৈনপুরি সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখানকার লোকসভা আসন থেকে গত দু’দশক ধরে সমাজবাদী প্রার্থীরা জিতে আসছেন। অগস্টের শুরুতে ফিরোজাবাদ জেলা পঞ্চায়েত এক প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলে, তাদের জেলার নাম রাখা হোক চন্দ্র নগর। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ইতিমধ্যে কয়েকটি শহরের নাম বদলেছে। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ। ফৈজাবাদ জেলার নাম হয়েছে অযোধ্যা। মোঘলসরাইয়ের নাম হয়েছেও দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর। সম্প্রতি ঝাঁসি রেলস্টেশনের নাম লক্ষ্মীবাইয়ের নামে করার কথা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আসার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতারা নাম বদলের দাবি তুলছেন। রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গুলাব দেবী দাবি করেছেন, সম্ভল জেলার নাম হোক পৃথ্বীরাজ নগর বা কল্কি নগর। বিজেপির বিধায়ক দেবমণি দ্বিবেদি দাবি তুলেছেন, সুলতানপুরের নাম বদলে করা হোক কুশভবনপুর। তাঁর বিশ্বাস, রামচন্দ্রের ছেলে কুশ এই নগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর আগে কংগ্রেস আমলেও নানা সরকারি ভবন ও প্রকল্পের সঙ্গে দলের নেতাদের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে এক আরটিআইয়ের জবাবে জানা যায়, কেন্দ্রের মোট ১২ টি ও রাজ্যের ৫২ টি প্রকল্পের সঙ্গে নেহরু-গান্ধী পরিবারের কারও না কারও নাম জড়িত। এছাড়া ২৮ টি টুর্নামেন্ট, ১৯ টি স্টেডিয়াম, পাঁচটি বিমান ও জাহাজ বন্দর, ৯৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫১ টি পুরস্কার, ১৫ টি ফেলোশিপ, ১৫ টি অভয়ারণ্য ও উদ্যান, ৩৯ টি হাসপাতাল, ৭৪ টি রাস্তা এবং ভবনের সঙ্গে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধীর নাম যুক্ত আছে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি কলেজ উদ্বোধন করবেন যোগী। তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে জনসংঘের বিভিন্ন নেতার নাম।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর