উত্তপ্ত তিলোত্তমায় আবারও সোচ্চার হল বাংলার মা-বোনেরা। বাংলায় মদ নিষিদ্ধের পর এবার হাঁসখালি গণধর্ষণ কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার রাজপথে রোজা অবস্থায় মহিলারা যেভাবে সোচ্চার হল বাংলায় তা ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মত বিশিষ্টজনদের। হাঁসখালি গণধর্ষণ কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ওয়েলফেয়ার পার্টির মহিলা শাখার মিছিলে এদিন পা মেলান শত শত নারী।
মিছিলটি গান্ধী মূর্তির কাছ থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় স্টেটমেন্ট অফিসে কাছে। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হাসান বলেন, ‘কাশ্মীরা থেকে কন্যাকুমারী মায়েরা নিরাপদে থাকবে সেই সরকারের নাম হবে ওয়েলফেয়ার সরকার। সেই সরকারের নাম হবে ওয়েলফেয়ার শাসন। আজকে আপনাদের হাতরাসের উত্তরপ্রদেশ হোক কিংবা পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালি দুটো ঘটনাই নিন্দনীয়। দুটো সরকার আলাদা, কিন্তু ঘটনা দুটো একই। সেখানে বিজেপি সরকার আছে আর এখানে তৃনমূল সরকার আছে দুজনের নীতিই এক। সেই নীতিটা তৈরী হচ্ছে নাগপুর থেকে, আরএসএস এর আতুর ঘর সেখান থেকে আর সেটা উত্তর প্রদেশেও ঘটছে, পশ্চিমবঙ্গেও ঘটছে।’
এই প্রখর রৌদ্রে যে ভাবে কষ্টকে উপেক্ষা করে নারীরা নিজেদের ক্ষোভকে এই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে উগ্রে দিতে এসেছে এটাই দলের বিজয়ের সূচনা বলেও জানান তিনি।
দলটির রাজ্য মহিলা শাখার ইনচার্জ রোহিনা খাতুন হাঁসখালি কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মমতার রাজ্যে মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয়। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা দিয়ে অবিলম্বে হাঁসখালি গণধর্ষণ কান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি যাতে এই কাজ দ্বিতীয়বার কেউ করতে ভয় পায়। ঘটনার সঠিক তদন্ত না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিনের উত্তপ্ত রোদ আর তীব্র গরম কে উপেক্ষা করে রোজা অবস্থায় যেভাবে বাংলার মা বোনেরা কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ দেখালো অবশ্যই তা ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলেও মত বিশিষ্টজনদের।
মিছিলে পা মেলান পার্টির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হাসান, রাজ্য সহ-সভাপতি আব্দুন নঈম, রাজ্য মহিলা ইনচার্জ রোহিনা খাতুন, রাজ্য সম্পাদকদ্বয় জালাল উদ্দীন আহমেদ, শাহাজাদী পারভীন ও আবু তাহের আনসারী, রাজ্য কোষাধ্যক্ষ মামুন আকতার হোসেন, ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্ট এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোল্লা, রাজ্য সম্পাদক নঈম সেখ, ফিটু কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাঃমানোয়ারা বেগম, রাজ্য সভাপতি সেখ মোজাফফর, রাজ্য সম্পাদক মাহিনুর জামান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।