এনবিটিভি, ওয়েব ডেস্ক: মণিপুর হিংসা নিয়ে উত্তাল সংসদ ভবন থেকে দেশ। সে রাজ্যের নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে ডবল ইঞ্জিন সরকার। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা মণিপুরে গিয়ে ওখানকার সাধারণ মানুষের কথা শুনছে। এবার আবহাওয়ায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও রাজ্য সরকার এবং অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে।
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন মনিপুর সরকার যেখানে বলা হয়েছে মায়ানমার থেকে আসা হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে মণিপুরে। ভারতের জমিতে রীতিমতো গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে তারা। সরকারের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট শিবিরে যেতে চাইছে না তারা। বর্তমানে মণিপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার নেপথ্যেও এই অনুপ্রবেশকারীদের হাত আছে। শনিবার স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মাত্র দু’মাসের মধ্যে সেরাজ্যে বসবাসকারী মায়ানমারের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সব তথ্য সরকারের হাতে চলে আসবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর একটি দল কীভাবে এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, মণিপুরের আধিকারিকদের সেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
অন্যদিকে, এই বিষয় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেন, “মণিপুরে ধারাবাহিক হিংসার নেপথ্যে চিনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ধারাবাহিক ভাবে মদত দেয় চিন। আমি নিশ্চিত যে ভারত সরকার চিনের এই অভিসন্ধি সম্পর্কে অবহিত এবং এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।”
এবার প্রশ্ন এই হিংসায় হাত কার বা কাদের? চীনের নাকি মায়ানমারের? নাকি এর পেছনে রয়েছে ক্ষমতায় থাকা লোকেদের হাত?