এনবিটিভি ডেস্ক: ডা. কাফিল খানের মুক্তির দাবিতে যতই আওয়াজ উঠুক না কেন, সেসব কানে তুলতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জনদরদি চিকিৎসক কাফিলের সাজা কমানো তো দূরের কথা, উলটে তাঁর কারাবাসের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দিলেন যোগী।
আরও ৩ মাস জেলে থাকতে হবে ডাক্তার কাফিল খানকে। তাঁর জেলের মেয়াদ বাড়াল উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) অনুযায়ী কাফিলের গ্রেফতারির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কম করে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে কাফিলকে। আসলে সিএএ-র বিরোধিতা করার জন্যই রাষ্ট্রের রোষের শিকার হয়েছেন কাফিল। তাঁর বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারিতেই প্রয়োগ করা হয় এনএসএ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর গত ৪ অগস্ট এই বিষয়ে ফের একটি নোটিশ জারি করে। আলিগড় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাফিলের বিরুদ্ধে এনএসএ প্রয়োগ করা হয়।
এরপরে অবশ্য বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়েছিল। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদের তরফে জানানো হয়, কাফিলকে জেলে পোরার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এক সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ৬০ জন শিশুর মৃতু্য হয়েছিল। সেই ঘটনায় কাফিল খানকে প্রথমে সাসপেন্ড এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। যদিও রোগীদের পরিবারের তরফে অনেকেই তখন বলেছিলেন, অক্সিজেন সংকটের সময় হাসপাতালের শিশুদের জন্য নিজের খরচে অক্সিজেন সিলিন্ডারও জোগাড় করে এনেছিলেন কাফিল। যদিও পরে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান কাফিল। কিন্তু সেই সময়ই অনেকেই বলেছিলেন, কাফিলের মুক্তি ভালো চোখে দেখবে না যোগী সরকার। আর তার ঠিক পরেই সিএএ বিরোধিতা করার জন্য নতুন করে যোগী সরকারের রোষে পড়েন কাফিল।
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়ে কাফিল খান ক্যাম্পাসের শান্তিভঙ্গ করেছেন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় জামিনও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে এখনই মুক্তি দিতে চায় না যোগী সরকার। যেনতেন প্রকারেণ তাঁকে জেলে আটকে রাখতেই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হল।
সৌজন্যে: পুবের কলম পত্রিকা