মানবিক দিক বিবেচনায় ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ভারতসহ মোট ১৫৩টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
বুধবার ভোর চারটার আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে মৌরিতানিয়া ও মিসর এই প্রস্তাব তুলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল ২৩টি দেশ।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ তার বক্তব্যে ৭ অক্টোবরে হামাসারে হামলা, ঈসরাইলের হামরায় মানিবক বিপর্যয় ও সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর কথা তুলে ধরেন।
এর আগে অক্টেবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠাতে মানবিক দিক বিবেচনায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে পাস হওয়া প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত থাকায় সারাদেশে সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পেশ করেছিল জর্ডান। তাতে হামাসের হামলার উল্লেখ না থাকায় ভারত ভোটদানে বিরত থাকে। পাল্টা এক প্রস্তাব তুলেছিল কানাডা। তাতে হামাসের হামলার নিন্দা জানানো হয়। ভারত ওই প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও তা গৃহীত হয়নি।
বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি যে পাস হবে, তা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। অবশ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। যদিও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোভাব বোঝা যায়।
গাজায় দ্রুততম সময়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তুলেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে প্রস্তাবটিতে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে গাজায় রক্তপাত থামানোর প্রয়াস ব্যর্থ হয়।
গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ১৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ২৩ লাখ বাসিন্দার ৮০ ভাগই উদ্বাস্তু হয়েছেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবটি পাস হলো।