রিপোর্টার
মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গতকাল রাত ১০.১৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের গুলশানপাড়ার বাসিন্দা ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না গত কয়েকদিন যাবত জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকার
কারণে তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে গত সোমবার ফেরদৌস ওয়ারা সুন্নার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ
করে তা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার সে ফলাফল আসে। রিপোর্টে ফেরদৌস ওয়ারা সুন্নার করোনা পজিটিভ আসে। এরমধ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামিম কবির তাকে সার্বিক চিকিৎসা প্রদান শেষে আইসোলেশনে রাখেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন হাসপাতালে ছুটে যান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাঁর শারীরিক অবস্থার খবরাখবর নেন। এ সময় দূর থেকে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুন্না আগের থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো বলেই সাবেক মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দারকে জানান। কিন্তু এরপর আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালেই রাত ১০.১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সমস্ত দায়িত্বশীলরা।