আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা যৌক্তিক দাবিতে অান্দোলন করেন।ছাত্রদের ছয় দফা দাবিতে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।অানাস মাদানির কক্ষ ও অাল্লামা শফির কক্ষে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজি তাঁর ফেইসবুক ওয়ালে নিজ চোখে দেখা এবং ছবি তুলে প্রমাণ করেছে আল্লামা শফি রহ এর কক্ষেও ভাংচুর চালানো হযেছে।তিনি এটা বহিরাগতদের হামলা বলে দাবি করছেন।এসব হামলা আর আন্দোলনে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।তা স্বত্বেও কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর দিকে অাঙ্গুল তুলছেন।শুক্রবার রাতেই রাঙ্গুনিয়াতে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী অাল্লামা শফি রহ এর মৃত্যুর জন্য দায়ী এবং তাঁর বিচার দাবিতে অানাস মাদানি ও মুফতি ফয়জুল্লাহর সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
গতকাল থেকে দেখলাম বাম পাড়ায়ও হৈ চৈ শুরু হয়েছে।অাওয়ামী লীগের কিছু নেতা কর্মীরা অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে দুষছেন। যারা অাল্লামা শফিকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর শাম্তি দাবি করছেন তারা কেউ অাল্লামা শফি (রহ) কে ভালোবাসেনা।এটা এক প্রকার কাঁটা দিয়ে কাঁটা তু্লার নব্য কৌশল।নাস্তিক আর বামপন্থীরা ‘অাল্লামা শফি (রহ) এর বিচার চেয়ে বাবুনগরী কে দোষারূপ করা মানেই হেফাজতে ইসলাম এবং কওমী অঙ্গনকে সমূলে বিনষ্ট করার নতুন ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস।যারা আল্লামা শফি (রহ) কে তেতুল হুজুর বলেছিল তারা আল্লামা শফির পক্ষে হয়ে বিচার চাওয়া মানে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী কে কোণঠাসা করা,কওমী অঙ্গনে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর অাস্থা ও বিশ্বাসে ফাটল সৃষ্টি করা।
সরকারী দলের লোকজন এবং বামপাড়ার লোকজন অাল্লামা শফি (রহ) এর মৃত্যুর রহস্য জানতে আগ্রহী হওয়ার মধ্যে বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই উনাকে কওমী অঙ্গন থেকে মাইনাস করতে না পারলে ভবিষ্যতেও কঠিন দিন অাসতে পারে।এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
১) অাল্লামা জুনাুদ বাবুনগরী শোকরানা মাহফিল নামক ইতিহাস বিকৃতির অনুষ্ঠানে যোগদান না করা
২)এই মুহুর্তে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী কে দমন করতে না পারলে হেফাজতে ইসলাম ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে
৩) দোষ চাপিয়ে বশ করে সরকারের পক্ষে নেওয়ার কৌশল
৪) অাপসহীন বাবুনগরী ফের গর্জে উঠতে পারে।সেই ঝুঁকি সরকার নিতে চাইছেনা।তাই সূচনাতেই সমাপ্তির কৌশল থেকে বাবুনগরীকে অাল্লামা শফির প্রতিপক্ষ প্রমাণ করে কওমী অঙ্গনে তাঁকে গুরুত্বহীন করে তোলা।
৫) অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী হাটহাজারি মাদরাসায় থাকলে ক্ষমতাসীনরা সুবিধা করতে পারবে না ভেবেও তাঁকে মাইনাসের চিন্তা থাকতে পারে।সব মিলিয়ে অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চলছে।