উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ২২জুলাই বুধবার দিন গত রাতের মুষলধারে টানা বর্ষণে করতোয়ার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।উপজেলার ফুলবাড়ি,দরবস্ত,সাপমারা,
তালুককানুপুর ও হরিরামপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।পানি বৃদ্ধির এ গতি অব্যাহত থাকলে দুই এক দিনের মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষের ঘর বাড়ী পানিতে ডুবে পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি ও বর্ষণে নদীভাঙ্গনে তীব্র আকার ধারণ করেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট।পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে দরবস্ত ইউনিয়নের গোসাইপুর,হরিরামপুর ইউনিয়নের পার ধুন্দিয়া,
রাখালবুরুজ ইউনিয়নের বিষপুকুর,মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বোচাদহ, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কুন্দরপাড়া এসকল এলাকা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙ্গন পয়েন্টগুলোতে জিও ব্যাগ দিয়ে ড্যাম্পিং করে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।একই সাথে তিনি জানিয়েছেন প্রবল বৃষ্টির ফলে পানি হঠাৎ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান বৃষ্টিপাত না হলে পানি দু’একদিন বাড়ার পর কমতে শুরু করবে।
ছবি:-উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের শাকপালা মৌজার চড়পাড়া থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে উঠানো।