গোবিন্দপরে জমে উঠেছে কোরবানির হাট, ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে দাম

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

hdr
hdr

শামীম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর উপজেলা গোবিন্দপুর জমে উঠেছে পশুর হাট। প্রতিদিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাজার হাজার দেশীয় গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছেন এসব হাটে। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর পশু মোটাতাজা করায় অধিক খরচ হলেও গত বছরের চেয়ে কম দাম চাওয়া হচ্ছে পশুর। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
হোসেনপু উপজেলা কয়েকটি পশুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। এছাড়া হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
বিক্রেতা মো. আমির হোসেন, বাবুল মিয়া ও মো. বশির জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে আমরা গরু, মহিষ ও ছাগল মোটাতাজা করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। তাই কোরবানির হাটে পশুগুলোর দাম একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি গরুর দাম দেড় লাখ চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম বলেন ৮০-৯০ হাজার, আর যদি এক লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা বলেন ৬০-৭০ হাজার। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যায়।
তারা আরো জানান, বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক লোকসান গুনতে হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

ক্রেতা মো. রিপন, মো. সোহাগ মো. সুমন ও আ: হাই জানান, কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে এসেছেন। কিন্তু বিক্রেতারা গত বছরের চেয়ে এ বছর পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। ফলে সামর্থ অনুযায়ী, পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তারা আরও জানান, আরও এক-দুইদিন হাটে যাবো। যদি দাম কিছুটা কমে তাহলে ভালো, নাহলে বেশি দামেই কিনতে হবে।
এই হাট দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ হাটে ৮০টি গরু ও ৫০টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। আমাদের এ পশুর হাটে গরু ২০০ খাজনা আদায় করা হয়। আর ছাগল ২০০ টাকা খাজনা আদাই করা হয়।তাই এ হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সমাগম বেশি। এছাড়াও খাজনা কম নেয়ায় হাটে পশুর দামও কম রয়েছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর