ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক এর উদ্যোগে দুলারহাট পালিত হল শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_887298601678342

 

শরিফুল ইসলাম সৌরভ (শরীফ)
ভোলা জেলা প্রতিনিধি

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে
ভোলা জেলাধীন চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা

নুরাবাদ ইউনিয়নে
আজ সকাল থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হল জন নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী।

অবশেষে সকালে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি বিকালে শুরু হয় দোয়া ও আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে

উপস্থিত ছিলেন নুরাবাদ ইউনিয়ন এর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ

সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন মিয়া,এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক বিন্দু
যুবলীগ সভাপতি ইউসুফ আলী পন্ডিত।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক। উক্ত সভায় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক।

আলোচনা সভায় বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য জীবনী সম্পর্কে বলেন, তিনি পূর্ব পাকিস্তানের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭

সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম

ফজিলাতুন্নেসার কোল জুড়ে জন্মগ্রহণ করেন৷ টুঙ্গিপাড়াতে বাল্যশিক্ষা শেষ করে ১৯৫৪ সাল

থেকে তিনি ঢাকায় পরিবারের সাথে মোগলটুলির রজনী বোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।

পরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে স্থানান্তরিত হন। ১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা টিকাটুলির

নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর থেকে

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে থাকা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করার পর পারিবারিক সম্মতিতে ১৯৬৭ সালে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পড়াশোনার জন্য পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান নেন৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা বাদে পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। তাদের সংসারে সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (কন্যা) নামে দুই সন্তান রয়েছেন।

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মজীবন সম্পর্কে বক্তারা বলেন, তিনি ১৯৮১ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন৷ তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯১-১৯৯৫ পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতা এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ ২০০৮ সালে জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসেন। তিনি ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত, ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২০১৮ সালে তার অবস্থান ছিল ২৬তম৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফরেইন পলিসি নামক সাময়িকীর করা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদদের তালিকায় শেখ হাসিনা জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি বিশ্ব নারী নেত্রী পরিষদ-এর একজন সদস্য, যা বর্তমান ও প্রাক্তন নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। রাজনীতির বাইরে লেখক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রায় ৩০টি গ্রন্থ।অবশেষে, মিলাদ শরীফ, দিয়েঅনুষ্ঠান শেষ করা হয়।অবশেষে বক্তারা ছাত্র নেতা আবদুর রাজ্জাককে এই রকম অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর