ছাত্রকে নিরাপত্তার জন্যে হুমকি উল্লেখ করে গত আট মাস ধরে হেনস্থার অভিযোগ উঠল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের নাম নাজার মোহাম্মাদ মোহাদিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিনের একজন গবেষক।
তার অভিযোগ এভাবে হেনস্থা অসহযোগিতার মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এর আগে এই বছরের ফ্রেব্রয়ারীতে একটি ছবি মুক্তিকে কেন্দ্র করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হামলায় ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছিল।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হুমকির মুখে ক্লাসে ফিরলেও প্রফেসার শেইলজা সিং তাকে পড়ালেখায় অসহযোগিতা করে অন্য শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের হুমকি উল্লেখ করে তাকে হেনস্থা করেন।
এর মধ্যেই গত ৪ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থী পিএইচডি চালিয়ে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, বারবার আপিল করা স্বত্ত্বেও কোন শিক্ষক এগিয়ে আসেসনি। ওই শিক্ষার্থীসহ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংলাপের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি কখনোই সম্ভব হয়নি। নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করতে অপরাগতা জানানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মাইনরিটি শিক্ষার্থীদের প্রতি কি দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নাজার তামিলনাড়ু থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন। গত ১২ মাস ধরে কোনো কারণ ছাড়াই তার বৃত্তি আটকে রাখা হয়েছে। গত মার্চে তাকে ১৫ দিনের জন্যে বহিষ্কার করেন প্রফেসার সিং। ১৬ তারিখ ল্যাবে ফিরলেও পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ল্যাবে যেতে নিষেধ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও এই সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।