ফরিদগঞ্জে বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার নিজ মেয়ে

 

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বাবা কর্তৃক নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক মনির হোসেনকে আজ সোমবার ভোর রাতে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পাঠিয়েছে ।

এমন চাঞ্চলকর ঘটনাটি ঘটে গত ২২ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড লক্ষীপুর চৌধুরী বাড়ির মৃত সেকান্তরের ছেলে ধর্ষক মনির হোসেন (৩৭) এ ঘটনা ঘটায়।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষক মনির হোসেনের স্ত্রী মুক্তা বেগম ২ ছেলে ও ১৪ বছরের এক মেয়েসহ ঢাকায় বসবাস করে আসত। দেশের চলমান লকডাউনের কারনে আমরা দেশে আসলে মেয়েটির বাবা গত ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ ঝাপটাই ধরে কাপড় ছোপড় খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ সময় নিজ মেয়েকে ভয় দেখিয়ে বলে এ ঘটনা কাউকে বলিলে খুন করে ফেলবে। তোকে আমি বিয়ে দেব না। আমার বাড়ীতে রেখে তোকে ভাত মাছ খাওয়াবো। ধর্ষিতা মেয়েটি বাবার ভয়ে চুপ করে ছিল। মা বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি খুলে বলার সাহস পায়নি। কিন্তু এরি মধ্যে প্রায় সময় ঘাতক বাবা মেয়েটিকে একের পর এক ধর্ষণ করে আসছে।

এ ঘটনায় কয়েক বার ধর্ষক মনির হোসেনের মা রেহেনা বেগম চোঁখে পড়লে তাকেও মেরে পেলার হুমকি দিয়ে আসছে নিজ সন্তান ধর্ষক মনির।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর মুক্তা বেগম মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে মাকে নিজ বাবার নির্মম ঘটনা খুলে বলেন। মেয়েটির মা দ্রুত ঢাকা থেকে এলাকায় আসে এবং নিজ শাশুড়ির মূখের বর্ণনা শুনে ফরিদগঞ্জ থানায় ধর্ষক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা ধর্ষক মনির হোসেনকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ।

এদিকে এলাকাবাসী বলেন, ধর্ষক মনির হোসেন আগে থেকে এলাকায় মাদক,ইভটিজিং এর সাথে জড়িত। আমরা এ ঘটনায় ধর্ষক মনিরের ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রকিব জানান, ধর্ষণ এখন ঘরে ঘরে পৌচে গেছে। বাবার কাছেও নিজ মেয়ের ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। যার বাস্তব প্রমান ধর্ষক মনির হোসেন। ধর্ষক মনির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলার সকল কাগজপত্র তৈরি করে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

Latest articles

Related articles