ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদ খারিজ মামলায় লোকসভা সচিবালয়কে নোটিশ পাঠালেন সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে নোটিস জারি করেছে।
মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মহুয়া মৈত্র লোকসভায় যোগ দেওয়ার অনুমতি চান আদালতের কাছে। আদালত সেই আদালত খারিজ করে দেয়।আইনসভার এক্তিয়ারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সার্বভৌম শাখা হিসেবে আইনসভার নিজস্ব শৃঙ্খলা রয়েছে। সেখানে বিচারবিভাগীয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা আছে কি ? এই মন্তব্য করেন আদালত।
এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, মহুয়া কি স্বীকার করছেন তিনি দর্শন হিরানন্দানিকে লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস দিয়েছেন?
জবাবে মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, হ্যাঁ, দর্শন হিরানন্দানিকে পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তার নিয়ন্ত্রণ মহুয়ার হাতেই ছিল। আইনজীবী সেট অফ প্র্যাকটিসের কথাও তুলে ধরেন। প্রত্যেক সাংসদ তাঁদের আপ্ত সহায়কের সঙ্গে এই লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস শেয়ার করতে পারেন।
মহুয়ার আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই এবং শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে কেন এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে ক্রস এগজামিনেশন করা হয়নি? তিনি বলেন, হিরানন্দানি মহুয়াকে ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জয় অনন্ত। আবার হিরানন্দানি বলছেন, তাঁকে মহুয়া চাপ দিচ্ছেন। ফলে ক্রস এগজামিনেশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রশ্ন করেন, আপনি কি ক্রস এগজামিনেশন চেয়েছিলেন? জবাবে মহুয়ার আইনজীবী বলেন, বহুবার চেয়েছি। অনুমতি দেওয়া হয়নি। হিরানন্দানিও অভিযোগ করেছেন তাঁকে ডাকা হয়নি বলে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, একটি নোটিস ইস্যু করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করছে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মার্চ।