মো. জাকিরুল ইসলাম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোর সদ্য রোপণ করা ৬৭৬ হেক্টর আমন খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার খলাভাংগা এলাকায় ভোগাই নদের বাঁধে সৃষ্ট ভাঙনের অংশ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢলের পানি প্রবেশ করে হালুয়াঘাটের ধুরাইল ইউনিয়নের ১২ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, ১০ টি ইউনিয়নে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ১৬৯০ একর ফসলী জমি প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত চার বছর আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার খলাভাঙা এলাকায় ভোগাই নদে ৫০০ মিটার বাঁধের ভাংগনের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বাঁধ সংস্কার না করায় বর্তমানে এটি ১ হাজার মিটার বাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের এই ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান, ইউনিয়নের ৫ টি গ্রাম সহ উপজেলার সীমানা ঘেসা হালুয়াঘাটের ধুরাইল, আমতৈল, কৈচাপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে কৃষকের প্রায় কয়েক হাজার রোপা আমনের খেত পানিতে ডুবে রয়েছে। কৃষকেরা পানিতে ডুবে থাকা ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ধুরাইল ইউনিয়নের গোরকপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হেলাল উদ্দিন (৪৫) বলেন, ভোগাই নদের বাঁধের সংস্কার না করায় পাহাড়ী ঢল এলেই আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়। আমার প্রায় ৩ একর জমির ফসল পানির নিচে।
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমান খেত তলে যাওয়ায় ফসলি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় দুশ্চিন্তাতে কৃষক পরিবারগুলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে সাচ্ছন্দ্যে দিন কাটানো যেন এখন হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.মাসুদুর রহমান বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ভারী বর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিমজ্জিত এলাকায় পানি দুই একদিনের মধ্যে নেমে গেলে কৃষকের ক্ষতির পরিমান অনেক কম হবে তবে যদি জলাবদ্ধতা তৈরি হয় তাহলে ক্ষতির পরিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে নিম্মজিত এলাকার তালিকা পাঠানো হয়েছে । সরকারী প্রণোদনা আসলে নিমজ্জিত এলকারা কৃষকেদর অগ্রাদিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।