নিউজ ডেস্ক : আজ একযোগে করলেন মোদি মন্ত্রিসভার ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ। জানা গিয়েছে মোদি সরকার বিজেপিকে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করা নেতাদের এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় পুরস্কার স্বরূপ। ১২ জনের পদত্যাগের পর অন্তত ৪০ জন মন্ত্রিসভাতে যুক্ত হতে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই মোদির সঙ্গে এই আলোচনা করতে বহু বিজেপি এবং বিজেপি মিত্রদের নেতারা মোদির বাসভবনে গিয়ে হাজির হয়েছেন।
রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা এবং মন্ত্রী থোয়ার চাঁদ গেহলোট মন্ত্রিসভা ও রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাকে ইতিমধ্যে কর্ণাটকের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সাথে পদত্যাগ করেছেন। উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার দায় হর্ষবর্ধনের ওপরেই বর্তায়। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ও পদত্যাগ করেছেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, মানব সম্পদ বিকাশের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শামরও ধোত্রি এবং মহিলা ও শিশু বিকাশ প্রতিমন্ত্রী দেবাশরী চৌধুরী, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিমন্ত্রী রতন লাল কাতারিয়া, MSME প্রতিমন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র সরঙ্গি, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। বাবুল সুপ্রিও এবং কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব দাদারাও দানভেও আজ পদত্যাগ করেছেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী গ্যাঙ্গওয়ার স্পষ্টতই মন্ত্রিসভা পদমর্যাদার উন্নতির সন্ধানে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সন্ধ্যা ৬ টায় নির্ধারিত মন্ত্রিপরিষদের রদবদলের আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আলোচনা করতে বাসভবনে পৌঁছেছেন জেডি (ইউ), এলজেপি এর মতো দলের এনডিএ জোটের সিনিয়র নেতারা। হাজির প্রায় এক ডজন বিজেপি সাংসদ ও প্রবীণ নেতারা।
অমিত শাহ এবং জেপি নদ্দার মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছেন। সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় ৪০ জনেরও বেশি মন্ত্রী শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব, আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, রাজ্যসভার সাংসদ এবং মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রেন, শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ রাজীব চন্দ্রশেখর মোদির সঙ্গে ইতিমধ্যেই সাক্ষাৎ করেছেন। এদেরকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যসভায় জেডি (ইউ) নেতা আরসিপি সিং এবং এলজেপির নতুন সভাপতি পশুপতি নাথ পারস এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা রাম বিলাস পাসওয়ানের ভাইও প্রধানমন্ত্রীর সাথে মতবিনিময় করেছেন।
রাজ্য মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, পুরশোত্তম রুপালা, হরদীপ পুরী, মনসুখ মন্দাভিয়া এবং জি কিশেন রেড্ডিও মন্ত্রিসভায় পদোন্নতির প্রত্যাশায়। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি, শোভা করাদলাজে, প্রীতম মুন্ডি ও সন্তানু ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন। বাংলা থেকেও শান্তনু এবং জগন্নাথ এই দুই সাংসদ নতুন কোনো দায়িত্ত্ব পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।