সরকারি সহায়তা নিয়ে নানান প্রকল্প “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি চলছে রাজ্যজুড়ে ,তার মধ্যে “স্বাস্থ্য সাথী” প্রকল্পের আবেদনের ঢল সামলাতে বিকল্প পদ্ধতি শুরু করতে চলেছে নবান্ন। সেই জন্য বিকল্প হিসেবে স্মার্ট কার্ড এর পরিবর্তে আপাতত ছবিসহ অঙ্গীকারপত্র দেওয়ার কথা ভাবছেন মমতা ব্যানার্জি।
১ম ডিসেম্বরে শুরু হওয়া প্রথম পরিষেবা শিবিরে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার আবেদন পত্র জমা পড়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ।স্বাস্থ্য ভবন এর ধারণা অনুযায়ী এইভাবে চললে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার আবেদন করতে পারে প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবার। সুতরাং, ভোট নির্বাচনের আগে এত পরিমাণে স্মার্ট কার্ড দেওয়া সম্ভব নয়, ভোট নির্বাচনের আগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুড়ি লক্ষ স্মার্ট কার্ড বিতরণ বিতরণ সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে ।তার চেয়ে আবেদন পত্র পত্র আবেদন পত্র বেশি হলে আপাতত কাগজের বীমাপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবং ভোট পর্ব শেষ হলে বাকি স্মার্ট কার্ড গুলি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নবান্নের এক শীর্ষকর্তা।
তবে কাগজের বীমাপত্র দেওয়ার মধ্যে একটি ধন্দ্ব ধরে গেছে সরকারি অন্দরমহলে কারণ স্বাস্থ্য সাথী সাথী কার্ড দেওয়ার ঘোষণা করার সময় মমতা ব্যানার্জি নিজেই স্মার্ট কার্ড দেখিয়ে বলেছিলেন মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বীমা যোজনা দেয়া হচ্ছে। তাই ভোটের আগে এই ব্যাপারটা সরকারের জন্য অনুকূল হবে বলে মনে করছেন না নবান্নের কিছু শীর্ষ কর্তারা ।
যদিও অন্য কিছু অংশ মনে করছেন যে, যেভাবে ডিজিটাল রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বারকোড যুক্ত কাগজ ব্যবহার করা হয়েছিল এক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে। এবং পরে অবশ্যই সকলকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে।।