নিউজ ডেস্ক : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই বিজেপি ও। সপ্তাহ শেষে দুইদিনের রাজ্য সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে তুমি রাত যে আসবেন বলে জানানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। তার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ আরো অনেক বিধায়ক, সংসদ এবং মন্ত্রীরা। এর ফলে রাজ্য বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বেড়েছে অনেকখানি কিন্তু তারই মাঝে একই কারণে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। দুর্গাপুরে এবং আসানসোলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে বিজেপিতে এখন দুটি শিবির। একটা শিবির যারা অনেক আগে থেকেই বিজেপিতে রয়েছে আরও একটা শিবির যারা নতুন করে অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছে। নতুন করে বিজেপিতে যোগদান করা নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সামনের সারিতে চলে আসলে বিবাদ স্বাভাবিক আর সেটাই দেখা গেছে এক্ষেত্রে। বর্ধমান ছেড়ে সমস্যা এখন গাইঘাটায় এসে পৌঁছেছে।
আদি বিজেপির নাম উল্লেখ করে ছড়ানো বিভিন্ন স্তরে লেখা হয়েছে “যাদেরকে এতদিন চোর ভাবতাম তারা আজ দলের সম্পদ।” আবারো কোথাও লেখা হয়েছে আমরা কোন বিজেপি, কোন কোন পোস্টারে বিজেপিতে যোগদান করা আমফানের টাকা চুরি করা নেতাদের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের একটা বড় কর্মসূচি রয়েছে। তারি মাঝে এই পোস্টটার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির কাছে। বিজেপির অন্দরমহলে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই নতুন করে উদ্ভূত ক্ষোভে সিঁদুরে মেঘ দেখছে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। বিজেপিতে যদি এই পরিস্থিতির কারণে ভাঙ্গন ধরে তার লাভ সরাসরিভাবে পাবে শাসকদল তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের। এখন এই সমস্যা যতই অন্যান্য দল থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করবে ততই বাড়তে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কিছুদিন আগে পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কথা বললেও বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থকরা এমনকি বাবুল সুপ্রিয় নিজে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার মাধ্যমে বোঝা যায় রাজ্য বিজেপি তে একটা দল তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের স্থান হারানোর ভয় করতে শুরু করেছেন। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এই সমস্যাকে কিভাবে মোকাবেলা করে সেটাই এখন দেখার।