নিউজ ডেস্ক : কয়েক বছর আগে এক আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা ভারতকে পৃথিবীর অজ্ঞতম দেশ বলে রায় দিয়েছিল। আর এর মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে অশিক্ষা এবং বিজ্ঞানবিরোধী ধর্মীয় যোগসূত্র থাকা কুসংস্কারে বিশ্বাস। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, বিকশিত হচ্ছে চেতনা এবং পরিবর্তিত হচ্ছে সামাজিক পটভূমি। কিন্তু পরিবর্তন সব জায়গায় যে হচ্ছে না তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ দেখা গেল বিহারে। ঘটনা বিহারের জামুই জেলার সোনো থানার কহিলা গ্রামের। তিন মাসের অসুস্থ শিশুকন্যাকে সুস্থ করার জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে তান্ত্রিকের পরামর্শে বলি দেয়া হল এক ৭ বছরের ছেলেকে। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা এলাকা। রাগে ফুঁসছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুই জেলার সোনো থানার অন্তর্গত কোহিলা এলাকার বাসিন্দা তুফানি যাদব (৩৫) এর ২ মাসের ছেলে গত বছর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। এবার তার তিন মাসের শিশুকন্যা একই রকম অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করায় চিন্তায় পড়ে যায় সে। মানসিক পরিস্থিতি দেখে তার এক সম্পর্কিত ভাই কারু যাদব (২২) স্থানীয় এক তান্ত্রিক জনার্দন গিরির (৫০) কাছে নিয়ে যায়। ওই তান্ত্রিক তুফানিকে বলে, সে যদি ছোট ভাই কেভাল যাদবের সাত বছরের নাবালক পুত্র সৌরভকে বলি দেয় তাহলে তার শিশুকন্যা সুস্থ হয়ে উঠবে। এই কথা শুনে নিজের বাবা ফুলেশ্বর, মা কুন্তি দেবী ও স্ত্রী সিন্ধু দেবীর সঙ্গে সৌরভকে খুনের ছক কষে তুফানি।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। পরে গ্রামের কাছে থাকা একটি জঙ্গল থেকে তুফানি, তার মা, স্ত্রী ও কারু যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর অভিযুক্ত তান্ত্রিক জনার্দন গিরিকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন গিরিডি সীমান্ত থেকে। তবে এখনও তুফানির বাবা ফুলেশ্বরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।