চীনা ফোনের আমদানি বাড়ল ব্যাপক পরিমাণে, ব্যর্থ মোদির আত্মনির্ভর ভারত ও চিন পণ্য বর্জনের ডাক

সাইফুল্লা লস্কর : ডাঁহা ফেল মোদির চিনা পণ্য বর্জনের অভিযান এবং আত্মনির্ভর ভারত গোড়ার ডাক। ব্যাপক পরিমাণে বাড়ল চিনা মোবাইল ফোনের আমদানি। একটি আন্তর্জাতিক পণ্য ব্যবসার ওপর নজরদারি সংস্থা আই টি সি জানিয়েছে ভারত না চাইতেও ব্যাপক পরিমাণে বাড়িয়েছে চিনা মোবাইলের আমদানি। সংস্থাটি বলেছে, গত বছর অক্টোবর মাসে চীন থেকে ভারতে মোট মোবাইল আমদানি হয়েছিল প্রায় ৪৬ লক্ষ ইউনিট। কিন্তু এই বছর এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষে। অর্থাৎ গতবছরের তুলনায় এক মাসেই শুধু মোবাইল আমদানি বেড়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ ইউনিট। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে মোদির আত্মনির্ভর ভারত অভিযান এবং চিনা পণ্য বর্জনের আহ্বানের সফলতার ওপর। চীন থেকে মূলত রিয়ালমি, ভিভো এবং অপ্পো কোম্পানির ফোনের চাহিদা প্রবল।

এপ্রিল মাস থেকে লাদাখ কে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের মধ্যে শুরু হওয়া সীমান্ত বিবাদ তার চরম সীমায় পৌঁছায় ১৫ ই জুন তারিখের রাত্রে যখন চিনা সেনার হামলায় ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়। সেই সময় চীনের বিশাল সামরিক শক্তির বহর মোদিকে চীনের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে বিরত রাখে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের ভাবাবেগ ও চীন বিরোধী ভাবনা কাজে লাগিয়ে ঘটনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে মোদী সরকার। ভারতের তরফ থেকে দফায় দফায় নিষিদ্ধ করা হয় চীনের প্রায় ২০০ এর অধিক অ্যাপ। বাতিল করা হয় সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন চিনা কোম্পানির চুক্তি। দাবি ওঠে আইপিএল এর স্পন্সর ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের যা বিসিসিআই অস্বীকার করলেও চীনা কোম্পানিটি নিজে থেকে সরে যায়। মোদির তরফ থেকে চিনা পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ক্রয় করার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। চীন থেকে আমদানি হ্রাসের চেষ্টা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বাধ সাধে ভারতের উচ্চ মানের প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং জীবনদায়ী ওষুধের মূল উপাদানের প্রয়োজন। এগুলো না চাইলেও চীন থেকে আমদানি করতে থাকে ভারত। সেই দিক থেকে এই পরিসংখ্যান তাৎপর্যপূর্ণ।

Latest articles

Related articles