নিউজ ডেস্ক : আজ ইরানের রাজধানী তেহরানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ড্রোন মহড়া শুরু করলো ইরানের সামরিক বাহিনী আইআরজিসি। বিশ্বের বৃহত্তম এই ড্রোন মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ইরানের স্থল বাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর ইউনিট সমূহ। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এ সমস্ত ড্রোন শত্রুপক্ষের এলাকায় গিয়ে আক্রমণ চালিয়ে শত্রুপক্ষের সামরিক স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে। এই সমস্ত ড্রোন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে খুব কার্যকরী। সীমান্ত এলাকার নজরদারিতে ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার।
উল্লেখ্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু ড্রোন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের থেকে সীমা লঙ্ঘন করে ইরানে প্রবেশ করার পর ইরান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেগুলোকে কপি করে নিজের প্রযুক্তিতে তৈরি করে চলেছে। অত্যাধুনিক সশস্ত্র ড্রোন নির্মাণে ইরান বিশ্বের মধ্যে অগ্রগণ্য।
আজ শত শত ড্রোনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ড্রোন মহড়ার দিনে আবার নিজেদের পরমাণু কর্মসূচির সূচনা করল ইরান। ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আজ থেকে খুব দ্রুতগতিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এর ফলে প্রতি মাসে তারা ৯ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করতে পারবে। তাদের লক্ষ্য ১২০ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ।
ইরানের এই নয়া পরমাণু কর্মসূচির সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, এর পিছনে ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির মনোবাঞ্ছনা কাজ করছে। তবে ইসরাইল ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা কোনদিনই মেনে নেবে না তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তেলআবিবের তরফ থেকে। চীন বিষয়টিকে স্পর্শকাতর বলে অভিহিত করে সমস্ত পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।