এনবিটিভি ডেস্ক: এন এস এস বা ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম কালিয়াচক কলেজের দায়িত্বে আরম্ভ হল ভিলেজ এডাপশন প্রোগ্রাম। কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের শেরশহীর নিকটস্থ মারুফুর গ্রাম এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও সমাজকর্মীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয় সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। এ মর্মে কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর নাজিবুর রহমান এর উদ্যোগে আরম্ভ হল সমাজ উন্নয়নের কর্মসূচি। আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন এনএসএস এর প্রোগ্রাম অফিসার যথা ক্রমে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সায়েম আহমেদ ও গুলিস্তা বেগমম্যাথামেটিক্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষিকা। তৎসঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাংলা বিভাগের প্রধান ডক্টর শচীন্দ্রনাথ বালা, এই বিভাগের জিয়াউল হক, ইতিহাস বিভাগের রিতব্রত গোস্বামী , রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গজেন কুমার বারুই, আরবি বিভাগের আনোয়ারুল ইসলাম, এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট এর আসিফ ইকবাল। গ্রাম পঞ্চায়েত এর সদস্য সাদেক শেখ, স্থানীয় সমাজকর্মী কামিরুল সেখ। প্রথম আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় রাইসা মিশন নামক একটি বেসরকারি স্কুলে তাদের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক শিক্ষিকা সাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন।
কালিয়াচক কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর নাজিবুর রহমান উদ্বোধনী ভাষণে উল্লেখ করেন, গ্রাম দত্তক বা ভিলেজ অ্যাডপশন কর্মসূচি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান টির একটা কো-করিকুলার কর্মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম এনএসএস ইউনিট সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে যেমন বৃক্ষরোপণ পরিবেশ পরিষ্কার করুন বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন ব্লাড ডোনেশন ফ্রী ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম। তিনি পরিশেষে উল্লেখ করেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে এলাকার উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার জন্য প্রথমে এই গ্রামটির শিক্ষা স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক অবস্থা পানীয় জল যোগাযোগব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে একটা সার্ভে হবে তারপরে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে। তিনি ঘোষণা করেন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রোগ্রাম অফিসার এর নির্দেশ মতো এই গ্রামে নৈশ বিদ্যালয় চালু করবে যেখানে এলাকার নিরক্ষর লোকেরা সাক্ষরতা লাভ করবে এই কাজে সামাজিক সহযোগিতা আগ বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাদেক সাহেব। কলেজের শিক্ষকগণ এই এলাকার স্কুলগুলো পরিদর্শন করে শিক্ষার উন্নতিতে পরামর্শ এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন কলেজের অধ্যাপকের সময় সাপেক্ষে এবং এই দায়িত্ব দেখাশোনা করার জন্য ডক্টর শচীন্দ্রনাথ বালা কে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।