তুষারধসের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। ভেঙে গিয়েছে জলবিদ্য়ুত্ প্রকল্প সহ একাধিক বাঁধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রসংঘ। রবিবারের বিপর্যয়ের জন্য ভারতকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিল তারা।
রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে পড়ে বন্যা পরিস্থিতির ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গভীর দুঃখ পেয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে এখনও নিখোঁজ। প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন। ভারত সরকারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এও জানানো হয়েছে, প্রয়োজন পড়লে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সমস্ত রকম সাহায্য করবে তারা।
উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ের খবর সামনে আসার পরই রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে(https://www.un.org/sg/en/content/sg/statement/2021-02-07/statement-attributable-the-spokesperson-for-the-secretary-general-india-0 )। রবিবার উত্তরাখণ্ডের নন্দাদেবীতে হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। আচমকা এই তুষারধসের ফলে তুষারধসের ফলে ধৌলিগঙ্গা ও অলকানন্দা নদীতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখনই জানা গিয়েছিল বাঁধ ভাঙা বন্যায় ১৫০ জন নিখোঁজ। তাঁরা জলবিদ্যুত্ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। মনে করা হচ্ছে জলস্রোতে ভেসে যেতে পারেন তাঁরা। এরপর বাড়তে থাকে নিখোঁজের সংখ্যা। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়তের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনাটি নজরে রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আইটিবিপির জওয়ানরা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলে উদ্ধারকাজ। করা হয় মাইকিং। নদীর পাড়ে যাদের বাড়ি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই তুষারধসের ফলে ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রের ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রেরই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। চামোলি জেলার তপোবনেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মনে করা হচ্ছে একাধিক মৃতদেহ এখনও উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।