নিউজ ডেস্ক : মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ ইমতিয়াজ জলিল এবং তেলেঙ্গানা রাজ্য বিজেপি সভাপতি মধ্যেকার এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসিমুখে তেলেঙ্গানা রাজ্য বিজেপি সভাপতি বেন্দি সঞ্জয় হায়দ্রাবাদের বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ চারমিনার এর একটি প্রতিকৃতি তুলে দিচ্ছেন সাংসদ ইমতিয়াজ জলিলের হাতে।
সচারাচর বিজেপি এবং অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা-নেত্রীদের কে দেখা যায় একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করতে এবং বাক্যবাণ নিক্ষেপ করতে। সে দিক থেকে এই ছবিটি তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছিলেন অনেকে। এমনকি হায়দারাবাদের গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় বিজেপি এবং অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পরস্পর বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে ছিল। তবে এই বিষয়টি সর্বসমক্ষে নিয়ে আসে হায়দ্রাবাদের জনপ্রিয় উর্দু দৈনিক সিয়াসাত ডেইলি। বিষয়টিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকে মন্তব্য করতে থাকে যে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির বিজেপি এবং মিম এর মধ্যে যে গোপন আঁতাতের বিষয়টি উল্লেখ করে থাকে তা সত্যি বাস্তব যা এই ছবির মাধ্যমে বোঝা গেল।
কিন্তু ইমতিয়াজ জলিল পরবর্তীতে বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য টুইট করেন। অরঙ্গাবাদ এর মিম সংসদ জানিয়েছেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের নগর উন্নয়ন কমিটি হায়দ্রাবাদ শহরে গিয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ে। রীতি অনুযায়ী আমরা সাংসদ হিসাবে যেখানে যাই সেখানে আমাদেরকে সম্বর্ধিত করা হয় এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল।” তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুটি দলের বিরোধী হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ আলী সাব্বির এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, পুরো বিশ্ব জানে এই দুটি দল একে অপরের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে রেখেছে। এখন যতই যা বলা হোক না কেন তাদের মুখের হাসি আর লুকানো যাবে না।