নিউজ ডেস্ক : হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান। এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বিজেপির প্রভু সংগঠন আরএসএস এবং এর নেতা কর্মী সমর্থকরা। আর তাই যেখানেই ক্ষমতায় যায় সেখানে জোর করে হিন্দি আগ্রাসন চালায় গেরুয়া শিবির। এবার বাংলায় ক্ষমতায় না এসেও শুরু করল সেই ভাষা আগ্রাসন। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে সমস্ত কাজে এবার থেকে ইংরেজি বা আঞ্চলিক ভাষা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রাণের ভাষা হিন্দিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবীরা।
১৯ মার্চ কেন্দ্রের তরফে কলকাতার এক কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ কালটিভেশন অফ সাইন্স এ একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠি লিখতে হবে হিন্দিতে (Hindi)। অফিসের কাজকর্ম থেকে ফাইলে সই করতে হবে হিন্দিতে। কেন কেন্দ্রের নির্দেশ পালন করছে না কলকাতার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, তা নিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পরই কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে হিন্দি মাধ্যমে কাজকর্মে সায় কলকাতার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্দরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সেই হিন্দি ভাষা আগ্রাসনের জন্য জারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:
প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠিপত্রের ৫৫ শতাংশই হিন্দিতে লিখতে হবে। হিন্দিতে লেখা কোনও চিঠি পেলে, তার উত্তরও সে ভাষাতেই দিতে হবে। ফাইলপত্রে নোট নিলে, তার ৩৩ শতাংশ করতে হবে হিন্দিতে।প্রতিষ্ঠানের সমস্ত ফাইলের নাম হিন্দি এবং ইংরেজিতে থাকবে।ফাইলে প্রথমে হিন্দিতে, তার পর ইংরেজিতে সে নাম লিখতে হবে। সার্ভিস বুকে যা এন্ট্রি করা হবে, তার পুরোটাও হবে হিন্দিতে। প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে সইসাবুদও ওই ভাষাতেই করা বাধ্যতামূলক। প্রতিটি বিভাগকে আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে এবং প্রতি অর্থবর্ষের শেষে এ বিষয়টি নিয়ে হিন্দি সেল-কে রিপোর্ট দেবে। গোটা বিষয়টিতে নজর রাখতে ওই প্রতিষ্ঠানে এক জন হিন্দি বিষয়ক আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে। এই নগ্ম হিন্দি আগ্রাসন প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বাঙালি নেট নাগরিকদের মাঝে।