রোহিঙ্গারা গেরিলা হামলা চালিয়ে হত্যা করল বার্মার ২২ সেনাকে

নিউজ ডেস্ক : গনতন্ত্রের আপাত শেষ চিহ্ন মুছে ফেলে মায়ানমারে কুরসী দখল করেছে সেদেশের সেনাবাহিনী। গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন ধীরে ধীরে জোরদার হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জোরদার হচ্ছে বার্মার জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন। ২ দিন আগেই একটি ঘটনায় ১১৪ জন গণতন্ত্রকামী নিহত হয়েছিলেন সেনা বাহিনীর গুলিতে। সেনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে কিছু এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে মায়ানমারের বিমান বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে পুরনো হিসেবে মিটিয়ে নিতে মনোযোগী হল বার্মা থেকে নির্মম গণহত্যার কারণে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গারা। তাদের হামলায় ২২ জন বার্মিজ সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

 

রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গ্যানাইজেশনের (আরএসও) হামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২২ সৈন্য হতাহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর একটি ক্যাম্পে (৪৪-বিপি) ওই হামলা হয়।

আরএসওর এক অনলাইন প্রেস রিলিজে বলা হয়, ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাতটার মধ্যে মিয়ানমার ক্যাম্পে একযোগে তিন দিক থেকেই এই হামলা চালানো হয়। দুই ঘণ্টার এই হামলায় তারা মেশিন গান ব্যবহার করে।

এই হামলার মুখে মিয়ানমার বাহিনীর অবশিষ্ট সৈন্যরা তাদের হতাহতদের রেখেই পালিয়ে যায়। ওই সময় ক্যাম্পটিতে প্রায় ১০০ সৈন্য ছিল।

আরএসও আরাকানের স্বাধীনতাপন্থী সংগঠন। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি আরাকানের স্বাধীনতা ও সব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

Latest articles

Related articles