নিউজ ডেস্ক : তথাকথিত মোদি ম্যাজিকে আর কাজ হচ্ছে না। এই ম্যাজিক এখন শুধু দৃশ্যমান গেরুয়া মিডিয়ার পর্দায়। বাস্তবে যতই গেরুয়া শিবিরের জনপ্রিয়তার ভুয়া গল্প প্রচার করা হোক তা আর বিশ্বাস করছে না সাধারণ মানুষ।যার প্রমাণ কিছুদিন আগে পাঞ্জাবে অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হার, তার আগে রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়, কর্নাটকের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির অপ্রত্যাশিতভাবে খারাপ ফল ত্রিপুরা উপজাতি পরিষদের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হিমাচল প্রদেশের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল। এবার দার সঙ্গে যুক্ত হলো প্রধানমন্ত্রী মোদির সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হওয়া ছাত্র পরিষদের নির্বাচনে বিজেপির ধরাশায়ী হওয়ার হওয়ার গল্প। বারানসি তে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির চাত্র পরিষদের নির্বাচনে সবগুলি আসনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। সবগুলি আসলে জয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র পরিষদ।
সম্প্রতি বারাণসীর সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনেই বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে ধরাশায়ী করে সব কটি আসন জিতেছে NSUI। ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণমোহন শুক্লা। সহ-সভাপতি পদে জিতেছেন অজিত কুমার চৌবে। সাধারণ সম্পাদক ও পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে শিবম চৌবে ও আশুতোষ কুমার মিশ্র। জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ কুমারের মতে, যুবসমাজ বিজেপিকে মুখের উপর জবাব দিয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, এবার প্রত্যেকেই বদল চান।
এইসব নির্বাচনে ক্রমাগত বিজেপির খারাপ ফল এর পেছনে তাদের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার এবং গ্রহণযোগ্যতায় ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির গল্প ঠিক এইরকমই হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে অতিরিক্ত পরিমানে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করতে চাইছে তারা বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর।