হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর টনক নড়ল কমিশনের, নিষিদ্ধ সব বড়ো জনসভা, রোড শো

নিউজ ডেস্ক : হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর প্রবল চাপে থাকা কমিশন রাজ্যে ভোটের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। বাকি দুই দফার ভোটের আগে কোনও জনসভা, রোড শো বা মিছিল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। আগে থেকে যে যে জনসভা-রোড শোয়ের অনুমতি নেওয়া ছিল, সেগুলি সব বাতিল করা হল। শুধুমাত্র অনধিক ৫০০ জন নিয়ে সভা করার অনুমতি দেওয়া হবে। এর আগে মোদি সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ রাজ্যে করোনার প্রবল বিস্তারের মাঝেও রাজনৈতিক জনসভা বাতিল করতে সম্মত হয়নি। নির্বাচন কমিশন ও নামমাত্র একটা সার্কুলার দিয়ে চুপ করে যায়। যাতে সুবিধা হয় বিজেপির। এমনকি অমিত শাহ এও পর্যন্ত বলেন যে নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই।

 

উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যে এই ভাবে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। কমিশনের হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা রয়েছে। যা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। সেই ক্ষমতার প্রয়োগ প্রয়োজন।

শুনানিতে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি। সেশনের ১০ ভাগের ১ ভাগ কাজ করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কমিশন চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ না করলে আদালতই প্রয়োজনে সেশনের কাজ করবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।

 

বৃহস্পতিবার আদালতের এই ভর্ৎসনার পরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ দফার ভোট মিটতেই কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বাকি দুই দফার আগে কোনও বড় নির্বাচনী জনসভা, জমায়েত, রোড শো করা যাবে না। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক জনসভা করার প্রতি প্রতিজ্ঞা বদ্ধ মোদি বাধ্য হয়ে বাংলায় সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করেছেন।

Latest articles

Related articles