করোনা আবহে এবার অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তালিকায় রয়েছে ঋণে ছাড়ের মেয়াদবৃদ্ধি, স্বল্প অর্থের জন্য বিশেষ ঋণ-প্রকল্প এবং অতিরিক্ত নগদ জোগানের মতো একাধিক ইস্যু। এই পরিস্থিতিতে গক্তকাল দেশের কোভিড-বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলিতে কড়া লকডাউনের প্রস্তাব রাখেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। এর জেরে ধাক্কা খেতে পারে জাতীয় অর্থনীতি।মার খেতে পারে ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্শিল্প ।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই আরবিআই প্রধান বলেন, আরবিআই-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অতিমারির আঁচ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। এই সূত্রে করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে থাকা হাসপাতালগুলির জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করা হয়। আরবিআই গভর্নর জানান, আপত্কালীন ভিত্তিতে অক্সিজেন, ভ্যাকসিন এবং করোনার ওষুধপত্রের জোগান গুরুতর হয়ে উঠছে। তাই আগামী দিনে সমস্ত কোভিড হাসপাতাল, অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা এবং ভাইরাসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আগাম ঋণ দেওয়ার খাতে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হবে। পাশাপাশি এর মেয়াদও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই প্রায়োরিটি লেন্ডিংয়ের সুবিধা মিলবে বলে আরবিআই সূত্রে খবর। এ ছাড়া জরুরি চিকিত্সা পরিষেবার ক্ষেত্রেও বিশেষ ঋণদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শক্তিকান্তের মতে, ব্যবসার ক্ষেত্রে অতিমারির আঁচ খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। পণ্য উত্পাদনের ক্ষেত্রেও বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। চলতি বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে আর্থিক বৃদ্ধি আশা করা গেছিল, তার খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি।