নিউজ ডেস্ক : আসামের তখত নিয়ে রেষারেষির মাঝে বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয়বার জয়ী হওয়ার পর ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটা নিয়ে রবিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁর আগেই কার্যত পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কারণ বৈঠকের আগেই অসমের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল ইস্তফা দিলেন। এবার হিমন্তের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শেষ পর্যন্ত তাঁর নামেই শিলমোহর দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য সোমবারই শপথ নেবেন অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠন) বি এল সন্তোষকে নিয়ে অসমের রাজভবনে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল। সেখানেই তিনি রাজ্যপালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন। এরপরই বৈঠকের জন্য বিধানসভায় পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অসমের বিজেপি বিধায়করা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন সয়ং সোনোওয়াল। ফলে সবদিক ঠিক থাকলে সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাই। যিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।
তবে আসামের রাজনীতিতে মুসলিম বিদ্বেষের পরিমাণ এবার আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই হেমন্ত শর্মাই বলেন, তার মুসলিমদের ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই। এদের ভোট নিলে তিনি বিধানসভায় বসতে লজ্জা বোধ করবেন। আর এবার নির্বাচনে বিজেপি কোনো মুসলিম প্রার্থীকে জয়ী করতে পারেনি। বিজেপি মুসলিম ভোট পাবে না জেনেই বেশি করে হিন্দু ভোট পেতেই তিনি ওমন মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে।