মোদি নিজেই ডেকে এনেছে এই করোনা বিপর্যয়, বলছে প্রখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

1367582-modiafp-1490686944

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও তাঁর সরকারকেই দায়ী করল আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকা ‘ল্যানসেট’ (Lanchet)। শনিবার ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোদি সরকার যেভাবে কোভিড পরিস্থিতিকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে এবং ধর্মীয় রাজনীতির স্বার্থে খাটো করে দেখেছে তাতেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছে। ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে সরাসরি মোদি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ ভারত নিজেই ডেকে এনেছে।

ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে করোনা মোকাবিলায় ভারত যে সাফল্য পেয়েছিল তাতে তাদের আত্মতুষ্টি এসে যায়। এপ্রিলের গোড়া পর্যন্ত মোদি সরকার করোনা মোকাবিলায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই করেনি। করোনা মোকাবিলার যে টাস্কফোর্স তার বৈঠক পর্যন্ত ডাকা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন যে বলেছিলেন মহামারীর শেষের শুরু হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেছে ল্যানসেটের সম্পাদকীয়। ল্যানসেটের বক্তব্য, করোনার নতুন প্রকার যে ‘সুপার স্প্রেডার’ সেটা বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মোদি সরকার সব রকম ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশে অনুমতি দিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জনসভা চালিয়ে গেছে মোদী নিজে। সেই সময়ে সুপার স্প্রেডার মহাকুম্ভ মেলা চালানোর অনুমতি নির্দ্বিধায় দিয়েছে। সেখান থেকে অসংখ্য ব্যক্তি সংক্রামিত হয়েছে বলা জানা গেছে। এব্যাপারে যখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদি সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে তখনই তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে বলে ল্যানসেট উল্লেখ করেছে। মোদি সরকার কোনও সমালোচনা শুনতে চায় না বলেও তাদের অভিযোগ।

 

ল্যানসেট জানিয়েছে, ‘দ্য ইন্সটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন’ জানিয়েছে, ভারতে আগামী ১ আগস্টের মধ্যে করোনায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে। যদিও বিভিন্ন মৃত্যুর সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে কিন্তু সরকার নিজের মুখ রক্ষায় তা গোপন করে চলেছে। ল্যানসেটের অভিযোগ, এই মৃত্যুমিছিলের জন্য মোদি সরকারই দায়ী থাকবে। কারণ, তারাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে এইভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছে। বস্তুত, শনিবারই ভারতে দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে। একদিনে মৃত্যু ৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। মোট মৃত্যু আড়াই লক্ষ ছুঁতে চলেছে। কবে এর থেকে মুক্তি মিলবে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের প্রতি পাঁচটি জেলার মধ্যে দু’টি জেলাতে পজেটিভিটির হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বহু অঞ্চলে পজিটিভিটি ৩০ শতাংশ পেরিয়েছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর