নিউজ ডেস্ক : তাসের ঘরের মতো ভাঙছে রাজ্য বিজেপি। একের পর এক বিজেপি নেতা দল ছাড়ছেন নানা কারণ ও অজুহাত দেখিয়ে। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো কারণে মতপার্থক্যের কারণে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সোনালী গুহর সঙ্গে সেই দলেই নাম লেখালেন মালদহের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সরলা মুর্মু। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দলবদল করা তৃণমূল নেতানেত্রীদের আবার দলে ফিরলে স্বাগত জানাবেন বলেছেন। এই সুযোগ নিয়েই দলে ফিরতে চান তিনি।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের গতানুগতিক কাহিনিতে খানিক ব্যতিক্রম সরলা মুর্মু। তাঁকে মালদহের (Maldah) হবিবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই আসন পছন্দ হয়নি সরলাদেবীর। চেয়েছিলেন পুরাতন মালদহ থেকে লড়তে। কিন্তু সংরক্ষণ কাঁটায় তা সম্ভব হয়নি। তাতে অভিমান করেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP)যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাতে পছন্দমতো আসন পাওয়া দূরঅস্ত, প্রার্থীই হতে পারেননি সরলা মুর্মু। ফলে গেরুয়া শিবিরে গিয়েও প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে ছিলেন মালদহের এই নেত্রী। ভোটের ফলপ্রকাশের পরও কার্যত কিছু করার ছিল না তাঁর।
এই অবস্থায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই দলবদলকারীদের ফেরানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ”ওরা ফিরলে ফিরবে, ওয়েলকাম। অসুবিধা কী?” এ কথা শুনেই মনটা ফের ঘাসফুলের দিকে ফিরছিল সরলাদেবীর। তবে এতদিন প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। শনিবার মমতার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা, আরেক দলবদলকারী নেত্রী সোনালি গুহ দীর্ঘ টুইটে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। তাতেই সম্ভবত অনুপ্রেরণা পান সরলা মুর্মু। তিনিও ঘনিষ্ঠ মহলে এবং সাংবাদিকদের জানান, বিজেপি আর পছন্দ নয়। এবার তৃণমূলে ফিরে ‘দিদির সৈনিক’ হয়ে কাজ করতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলতে চান। এই মর্মে তিনি আবেদনও জানিয়েছেন।