নিউজ ডেস্ক : মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। আমি বেলেবড়া ও নয়, আমি জল দোঁড়াও নই আমি এক গোখরো, এক ছোবলেই ছবি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচারে এমন সব উগ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মন্তব্য করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার মন্তব্যের কারণেই ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসা সংগঠিত হয় বলে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। মামলা দায়ের করা হয় মানিকতলা থানায়। কিন্তু সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান মিঠুন। সেখান থেকেই আজ তদন্তকারী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে ভার্চুয়ালি জেরা করার জন্য।
ভোটের পর রাজনৈতিক ব্যাপারে একেবারে নিরব হয়ে যাওয়া মিঠুনের দাবি, উপস্থিত জনতার আবদার মেটাতেই তিনি সিনেমার ডায়লগ বলতেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি ডায়লগ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছিল জাপ বিজেপি কর্মীদের আক্রমণাত্মক করে দিয়েছিল। আর সেই কারণেই নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায়।
মিঠুন চক্রবর্তী ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে মোদির ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দান করেন। তারপর তাকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেই সময়ই তিনি বিজেপির হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সিনেমার বিভিন্ন ডায়লগ বলেছিলেন।