নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার আবার পুরনো দলে ফিরলেন মুকুল রায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেননি। জয়প্রকাশ নারায়ণ বেশ ক্ষোভই প্রকাশ করেছেন। আর দিলীপ ঘোষ প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি বললেন, ‘আমি কী করব?’
মুকুলের যোগদান নিয়ে যতই তিনি বোঝাতে চান, কিছু যায় আসে না, বাস্তবে কিন্তু অতটাও নির্লিপ্ত থাকতে পারছেন না দিলীপ। বলা ভালো পরিস্থিতি থাকতে দিচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, মুকুলের প্রস্থান বিজেপির আঘাত করবে না।
মুকুল গিয়েছেন, আরও অনেকেই যেতে পারেন, ক্রমে এই ইঙ্গিতই স্পষ্ট হচ্ছে। বিজেপির বহু বিধায়ক যোগাযোগ রক্ষা করছেন মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলে ফেরার জন্য। আর বিজেপির আরো ঘর ভাঙার সম্ভাবনা দেখছেন বিজেপির একাংশ। শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপি–র সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন দিলীপ। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বনগাঁ জেলার ৬ বিধায়ক ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। কিন্তু বৈঠকে আসেননি সাংসদ শান্তনু। অনুপস্থিত ছিলেন ৩ বিধায়কও। তারা বিজেপিতে আর কতদিন থাকছেন সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিতে তার ঘনিষ্ট বিভিন্ন বিজেপি নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
বনগার বৈঠকের শুরুতে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছিলেন, আসবেন সকলে। কিন্তু দিন গড়ালেও তাঁরা আসেননি। বৈঠক শেষে এই নিয়ে নিজের ক্ষোভ চাপা দেননি দিলীপ বাবু। বলেন, ‘কিছু কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিধানসভার আগে এসেছিলেন। এর পর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বেসুরো হয়েছেন। তাঁদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের সম্পদ দলের কর্মীরা। তাঁরা সঙ্গে আছেন।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বলে আসলে পরিস্থিতি লঘু করার চেষ্টা করছেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া চেষ্টা করছেন। মনে মনে তিনি বেশ জানেন, মুকুলদের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।