ধনখড়কে ধুয়ে দিলেন বিমান বসু, বললেন, রাজ্যপাল নিজেকে বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে প্রমাণ করেছেন

নিউজ ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা প্রায়শই রাজ্যের রাজ্যপাল জগদিপ ধনখড়কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি রাজ্যের রাজ্যপাল, বিজেপির নেতা নয়। তার দায়িত্ব রাজ্যকে সঠিকভাবে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা। কিন্তু তা তিনি কখনোই শোনার প্রয়োজন মনে করেননি। তাই এবার শাসক দলের সুর শোনা গেল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর গলায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। রাজ্যপাল নিজেকে বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে প্রমাণ করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

 

রাজ্যপাল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আসার পর থেকেই রাজ্যের কার্যত বিজেপির দলনেতার ভূমিকা পালন করেছেন রাজ্যপাল জাগদিপ ধনখড়। অভিযোগ শাসক দলের। প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে গিয়েছেন নজিরবিহীন ভাবে। সাংবিধানিকভাবে একজন রাজ্যপালের ভূমিকা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমান্তরাল এবং সহযোগিতামূলক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ধনখড় যেভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের পিছনে সারাক্ষণ পড়ে রয়েছেন তা হয়ত ভারতের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে কি না সন্দেহ। অভিযোগ রাজ্য সভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখরের। এদিকে কয়েক দিন আগে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাকি ভেঙে পড়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার একাধিক বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যপালের বিরোধিতায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর মত, রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী যে রাজভবনের বারান্দায় বসে সভা করেছেন, তারও নিন্দা করেছেন বিমান। বলেছেন, ‘‌বারান্দায় বসে উনি সভা করলেন। যা অতীতে কখনও হয়নি। আর রাজ্যপাল ডেকোরাম ভুলে গিয়েছেন। শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে গিয়ে মাত্রা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’‌

 

রাজ্যের শাসক দল একাধিকবার বলেছে, রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন। একই সুর বিমান বসুর গলাতেও। তিনি বলে দিলেন, ‘‌উনি যেখানেই যাচ্ছেন, বিজেপি নেতাদের নিয়ে ঘুরছেন।’‌

Latest articles

Related articles