নিউজ ডেস্ক : বাংলা জয়ের পর এবার তৃণমূলের খেলা শুরু হতে চলেছে আরেক বাংলা ভাষাভাষীদের রাজ্য ত্রিপুরায়। মুকুলকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় নিজেদের ঘর সাজাতে চলেছে ঘাসফুল সৈনিকরা। শোনা যাচ্ছে, বিপ্লব বিরোধী সুদীপ বর্মন তার সঙ্গে ১৪ জন বিজেপি বিধায়ক নিয়ে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। উল্লেখ্য, রাজ্যটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ জন বিধায়ক ছিল। কিন্তু মুকুলের বিজেপি যোগদানের সঙ্গে তারাও বিজেপিতে যোগ দেন। এখন সেই ৬ জন বিধায়ক সবার আগে বিজেপির মায়া ছাড়তে চলেছেন বলে আশঙ্কা বিজেপি শিবিরের। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগরতলায় হাজির সন্দেহের তালিকায় থাকা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে।
তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার লক্ষ্য ২০২৪। মোদি বিরোধী মুখ হতে চলেছেন মমতা। তার আগে জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সেজন্যই ত্রিপুরাতে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই উদ্দেশ্যেই তৃণমূলে ফেরার পর মুকুল রায় সম্ভবত ত্রিপুরার দায়িত্ব পেতে চলেছেন। দল ভাঙাতে সিদ্ধহস্ত মুকুল প্রথমেই টার্গেট করতে পারেন সুদীপ রায় বর্মনকে। তাঁর হাত ধরেই ত্রিপুরাতে বড়সড় ভাঙন ধরতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছে বিজেপি।
আর সেই আভাস পেয়েই আগরতলায় হাজির হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ। দিনভর বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তিনি। এমনকী, বিপ্লব বিরোধী ৬ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ রায় বর্মনও।
বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মন এর সংঘাত সর্বজনবিদিত। সূত্রের খবর কমপক্ষে ১৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ। আর তার জন্যই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর সেই বিপর্যয় আটকাতেই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা ছুটে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে বেশ খানিকটা চাপেই রয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এক্ষেত্রে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপ কতটা সফল হবে সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিজেপির ওপর যেহেতু ত্রিপুরাবাসীদের বেশিরভাগ নারাজ তাই ক্ষুব্ধ বিধায়করা রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বুঝে বিজেপি ছাড়তে চলেছেন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।