নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে বিজেপি ছাড়ছেন বহু বিজেপি নেতা কর্মীরা। একই রকমভাবে এবার দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রাসমণি সোরেন। ফলে পঞ্চায়েতটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি। পঞ্চায়েত এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। দলবদল করা রাসমণি সোরেন জানান, বিজেপির মধ্যে এখন চলছে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই বিজেপিতে কাজের পরিবেশ একেবারেই নেই। সেই কারণেই তিনি বিজেপি ছেড়েছেন বে জানান। তবে তাকে জোর করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিকোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ রাসমণি সোরেন।
ছত্রী গ্রামপঞ্চায়েতটি ছিল বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬টি। বাকি ২টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। পরে বিজেপির ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের পঞ্চায়েতে দাঁড়ায় ৫ জন সদস্য। আগেই বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুক্রবার ছিল অনাস্থার ভোটাভুটি। তার আগে বিজেপির উপপ্রধান তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬। আর বিজেপি ২। শুক্রবার চুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল সভাপতি কমলকান্ত রাউত, সাঁকরাই্ল ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পিন্টু মাহাতো-সহ একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাসমনি সোরেন তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীও তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর সেখান থেকে মিছিল করে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে যান। এদিন বিজেপির প্রধান এবং এক সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তৃণমূলের পক্ষে উপপ্রধান-সহ মোট ৬ জন স্বাক্ষর করেন। ফলে গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে আসে।
এই দলবদলের ফলে সাঁকরাইলের মোট ১০ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬ টি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে আসল। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের এবং বিজেপির দখলে ৫ টি করে পঞ্চায়েত ছিল।